কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক: কলকাতা বা তার আশপাশে শিক্ষকদের বদলি চেয়ে মামলার বহর দেখে বিস্মিত কলকাতা হাইকোর্ট। বিচারপতি বিশ্বজিত বসু বুধবার বলেন, এরকম চললে তো গ্রামের স্কুল ফাঁকা হয়ে যাবে। সবাই শহরে আসতে চায় রাজ্য সরকারের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, এত বদলির আবেদন আসছে। ভাবা যায় না। একটা কিছু করুন। আপানারা এটা নিয়ে সিরিয়াসলি ভাবুন।
এদিন বিচারপতি বসু রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল গোপাল মুখোপাধ্যায়কে ডেকে এ ব্যাপারে নীতি তৈরিরর ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের মতামত জানতে চান। সম্প্রতি সরকারি আইনজীবী এই আদালতে কলকাতার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলির ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত নিয়ে একটি রিপোর্ট দেন। সেই রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে বিচারপতির বক্তব্য, কলকাতায় ১১৫টি এমন স্কুল আছে, যেখানে ৫০০-র বেশি শিক্ষক। কিন্তু প্রতি স্কুলে ৫০জনেরও কম ছাত্র। তারপরেই আদালতের বক্তব্য, সবাই বদলি চেয়ে হাইকোর্টে্ আসছেন। সবার লক্ষ্য, কলকাতা বা আশপাশের স্কুলে বদলি।
আরও পড়ুন:Bihar: বিহারে বিষমদে ৭ মৃত্যু নিয়ে বিধানসভায় তুলকালাম, বিরোধীদের ‘মাতাল’ বলে কটাক্ষ নীতীশের
বিচারপতি বলেন, আজ এমন এক শিক্ষকের আবেদন শুনতে হল, যেখানে তিনি ছাত্র চান। এরকম অনেক শিক্ষক ছাত্র না পেয়ে হাঁফিয়ে উঠছেন। যদি সরকারের মনে হয়, শিক্ষক বেশি হয়ে গিয়েছে, তাহলে আবার কেন নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে। অ্যাডভোকেট জেনারেল বলেন, আমরা ভালো শিক্ষক নিয়োগ করতে চাই। বিচারপতি পাল্টা বলেন, তার থেকে যেখানে ছাত্র আছে, শিক্ষক নেই, সেখানে বাড়তি শিক্ষকদের পাঠিয়ে দিন। এই নিয়ে সরকারের নীতি ঠিক করতে অসুবিধা কোথায়। এজি বলেন, শিক্ষক-ছাত্র অনুপাত কী হতে পারে, তা নিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা চলছে প্রধান বিচারপতির বে়ঞ্চে। সেখানে রাজ্য সরকার একটি রিপোর্ট দিয়েছে। মামলাকারীকে সেই রিপোর্ট দেখে মতামত দিতে বলেছে আদালত। তখন বিচারপতি বসু বলেন, আপনারা কিছু একটা করুন। গ্রামের স্কুল তো ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে।