কলকাতা হাইকোর্টের(Calcutta High Court) তোপের মুখে বীরভূমের(Birbhum) মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক (CMOH) হিমাদ্রি আরি(Himadri Aari)। তাঁর দেওয়া শংসাপত্রে (medical certificate)খুশি নয় আদালত। এজলাসে দাঁড়িয়েই তাঁকে দিয়ে নতুন শংসাপত্র লেখালেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। স্বাস্থ্য কর্তাকে আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে। ঘটনা হল, রঘুনাথ ঘোষ নামে একজন ২০১০ সালে রাজনগর আনমরা স্কুলে চাকরি পান। তিনি শারীরিক ভাবে অসু্স্থ। তবু তাঁকে একশো কিমি পথ পেরিয়ে স্কুলে যেতে হয়। তাই তিনি বাড়ির কাছে কোনও স্কুলে বদলির জন্য ২০১৭ সালের ২০ জুন তখনকার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে আবেদন করেন। কিন্তু কোনও কাজ না হওয়ায় রঘুনাথ আদালতের দ্বারস্থ হন।
শারীরিক কারণে বদলি চাইলে সংশ্লিষ্ট জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের শংসাপত্র লাগে। তাঁকে যে শংসাপত্র দেওয়া হয়, তাতে খুশি নন বিচারপতি। তিনি স্বাস্থ্য কর্তাকে সশরীর আদালতে হাজিরার নির্দেশ দেন। বিচারপতি তাঁকে বলেন, শংসাপত্রে তিনি প্রার্থীর মেডিক্যাল সংক্রান্ত কোনও বিষয়ের উল্লেখ করেননি। এতে কোনও কাজ হবে না। বিচারপতি এজলাসেই তাঁকে নতুন করে শংসাপত্র লিখে দিতে বলেন। তাঁকে সাদা কাগজ দেওয়া হয়। সেই কাগজে তিনি শংসাপত্র লিখে দেন।
আরও পড়ুন:
বিচারপতি নির্দেশ দেন, ২০২১ সালের শংসাপত্র গ্রহণ করছে না আদালত। রঘুনাথের নতুন করে মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে হবে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের নেতৃত্বে মেডিক্যাল বোর্ড গড়তে হবে। বীরভূমে সেই ব্যবস্থা না থাকলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কিংবা এসএসকেএম হাসপাতালে তা করতে হবে। সঠিক শংসাপত্র না দেওয়ায় সিএমওএইচকে ২ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। নতুন শংসাপত্র পাওয়ার পর রঘুনাথের বদলির বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।