কলকাতা: সাইবার অপরাধের মামলায় অভিযুক্ত কুণাল গুপ্তা ও নন্দিনী গুপ্তাকে হাইকোর্ট চত্বর থেকে সিআইডি গ্রেফতার করায় ক্ষুব্ধ আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালত বসতেই বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর কাছে তা নিয়ে নালিশ করেন আভিযুক্তদের আইনজীবী। বিচারপতি সেনগুপ্ত জানতে চান, কার নির্দেশে সিআইডি এটা করল? রেজিস্ট্রার জেনারেলের অনুমতি নেওয়া হয়েছে? কোন সুপিরিওর নির্দেশ দিয়েছেন? বিচারপতি রাজ্য সরকারকে নির্দেশ দেন, যে অফিসাররা ওই দুজনকে গ্রেফতার করেছেন তাঁদের এবং অভিযুক্তদের আদালতে হাজির করতে হবে। না হলে আমি যা নির্দেশ দেওয়ার দেব। কেউ ছাড় পাবেন না। আদালতের সেই নির্দেশ পেয়েই সিআইডির সুপারিনটেন্ডেন্ট, দুই অভিযুক্ত সহ পাঁচ অফিসারকে নিয়ে বিচারপতি সেনগুপ্তর এজলাসে হাজির সরকারি আইনজীবী।
সরকারি আইনজীবীর দাবি, তাদের কোর্টের ভিতর থেকে নয়, হাইকোর্টের পশ্চিম গেটের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচারপতি সেনগুপ্ত বলেন, আদালতের নির্দেশে অভিযুক্তরা আজ সকালে হলফনামা দিতে এসেছিলেন। এই অবস্থায় কোনও এজেন্সি তাদের তুলে নিয়ে যায়, সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। আমি আজই প্রধান বিচারপতির সঙ্গে কথা বলব। না হলে এই প্রবণতা চলতেই থাকবে। দরকারে এসওপি তৈরি করব।
আরও পড়ুন: যাদবপুরে শিক্ষাবিদের নেতৃত্বে তৃতীয় কমিটি গঠনের নির্দেশ রাজ্যপালের
সিআইডি অফিসারদের উদ্দেশে বিচারপতির মন্তব্য, ধৃতদের নিয়ে যা খুশি করুন। কাল সকালে এই মামলায় প্রয়োজনীয় নির্দেশ দেব। তারপরে যা বোঝার বুঝবেন।
বিচারপতি আরও বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশে কেউ হলফনামা সই করতে এলেন, আর সিআইডি তাঁকে হামলে পড়ে তুলে নিল। এই বিষয়টা যদি অ্যালাউ করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটবে। বিচারপতি বলেন, হাইকোর্টের ভিতর থেকে গ্রেফতার হলে আদালত তার নির্দেশ দিত। কিন্তু এটা কোর্টের বাইরে থেকে। তাই আদালত এতে হস্তক্ষেপ করবে না।
সরকারি আইনজীবী জানান, সাত হাজার বিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি আছে এদের বিরুদ্ধে। পৃথক মামলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে ধৃতদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, কেন এতদিন সিআইডি তাঁদের গ্রেফতার করেনি। এরপরেই বিচারপতি সিআইডির এই গ্রেফতারির ধরন নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। আদালতের বক্তব্য, গ্রেফতারে আইনি বাধা নেই। কিন্তু যে ভাবে ঘটনা ঘটানো হয়েছে, সেটা মেনে নিলে যে যা খুশি করবে। এটা হতে পারে না। কাল সকালে শুনানি।