কলকাতা: রাজ্যে চার বিধানসভা কেন্দ্র্রের উপনির্বাচনেও অশান্তি পিছু ছাড়ল না। বিরোধীরা শাসকদলের বিরুদ্ধে ভোটারদের ভয় দেখানো থেকে শুরু করে ভোটকেন্দ্রে যেতে বাধাদান, ভোট লুঠ, এজেন্ট বসতে না দেওয়ার মতো ভূরি ভূরি অভিযোগ তুলল। শাসকদল সব অভিযোগই অস্বীকার করে বলেছে, পরাজয় নিশ্চিত জেনে বিরোধীরা মনগড়া অভিযোগ তুলছে। মুখ্য নির্বাচনী অফিসারের দফতরের দাবি, ভোট হয়েছে শান্তিপূর্ণ। বুধবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চার কেন্দ্রে ভোটের হার ৬২.৭১ শতাংশ। সবচেয়ে বেশি ভোট পড়েছে রায়গঞ্জে, ৬৭.১২ শতাংশ। সবচেয়ে কম ভোট পড়েছে মানিকতলায়, ৫১.৩৯ শতাংশ। এদিন এছাড়া দেশের আরও সাত রাজ্যের ১৩টি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন হয়েছে। ভোট গণনা হবে ১৩ জুলাই।
আরও পড়ুন: ৫টা পর্যন্ত ৪ বিধানসভার উপনির্বাচনে ভোটের হার ৬২.৭১ শতাংশ
বিরোধীরা গত দুদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছিল, রাজ্যের চার কেন্দ্রেই শাসকদল প্রচুর পরিমাণে বহিরাগত জড়ো করেছে। স্থানীয় হোটেল, গেস্টহাউসে তাদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। পুলিশ দেখেও না দেখার ভান করেছে। মঙ্গলবার রাতেই অনেক জায়গায় বিরোধী দলের এজেন্টদের হুমকি দেওয়া হয়েছে, যাতে বুধবার তাঁরা বুথমুখো না হন। রানাঘাটের পূর্ণনগরে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে হামলা হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। গুলি চলেছে। তার রেশ ছিল বুধবার সকালেও। বাগদা, মানিকতলা, রানাঘাট দক্ষিণ এবং রায়গঞ্জ, চার কেন্দ্রেই শাসকদলের দুষ্কৃতীরা দাপিয়ে বেড়িয়েছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। শাসকদলের পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি রানাঘাট দক্ষিণ এবং বাগদায় বিভিন্ন বুথে হামলা করেছে।
বাগদায় বিজেপি প্রার্থীর গাড়ি ভাংচুর করা হয় বলে অভিযোগ। মানিকতলাতেও বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবের গাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে। তাঁকে লক্ষ্য করে চোর চোর স্লোগান ওঠে। তিনি ভোট লুঠের প্রতিবাদে ভোট দেবেন না বলে ঘোষণা করেন। পরে অবশ্য দলের নির্দেশে কল্যাণ নিজের বুথে ভোট দিতে যান। সিপিএম রানাঘাট দক্ষিণে ভোটের নামে প্রহসন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে। তারা ওই কেন্দ্রে পুনর্নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে।
দেখুন অন্য খবর: