পুরুলিয়া: শহরের প্রাণকেন্দ্র বিটি সরকার রোডে (BT sarkar Road) গত ২০ বছর ধরে ডাক্তার সেজে (Fake Doctor) লোক ঠকিয়ে চলেছে এক ব্যক্তি। অর্শ, পাইলস, ফিসচুলা অপারেশনের (Operation) জন্য ১৪ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে গরিব মানুষের সর্বনাশ করছে জে কে বিশ্বাস নামে ওই হাতুড়ে। ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন থেকে শুরু করে সরকারি হাসপাতালের ডাক্তার (Doctor), সকলেই প্রশ্ন তুলছেন, প্রশাসনের নাকের ডগায় কী করে ওই ব্যক্তি এভাবে ব্যবসা ফেঁদে বসেছে। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কুণালকান্তি দে বলেন, আমাদের কাছে এ ব্যাপারে কোনও তথ্য ছিল না। আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। বিরোধী দলগুলি বলছে, জেলা প্রশাসন কি এতদিন নাকে তেল দিয়ে ঘুমাচ্ছিল?
স্থানীয়রা জানান, রীতিমতো প্যাড ছাপিয়ে এই বেআইনি কারবার চালাচ্ছে জে কে বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তি। বিটি সরকার রোড শহরের ব্যস্ততম এলাকা। পাশেই বাসস্ট্যান্ড। দিনভর বহু লোকের আনাগোনা। চেম্বারের বাইরে বড় বড় হরফে লেখা, ডাঃ জে কে বিশ্বাস। চেম্বারের ভিতরে দেখা গেল ইনজেকশন ভায়াল, সিরিঞ্জ, তুলো, ব্যান্ডেজ, ছুরি কাঁচি সহ বেশ কিছু অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ। কোনও ড্রাগ লাইসেন্স ছাড়াই বিশ্বাসবাবু চেম্বারে থেকে ওষুধ বিক্রি করেন। ছবি তুলতে গেলে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে এই ভুয়ো ডাক্তার। শেষে হাত জোড় করে ক্ষমা চায়। প্রেসক্রিপশন প্যাডে তার সহকারীর ফোন নম্বরটি দিয়ে রেখেছে এই কীর্তিমান। স্থানীয়রা জানান, অপারেশনের রেট সব থেকে কম ১৪ হাজার টাকা। সবচয়ে বেশি ২৫ হাজার টাকা। বহু গরিব মানুষ কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে অপারেশন করার জন্য।
আরও পড়ুন: চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যু, হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ পরিজনদের
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি মনোজিৎ মণ্ডল বলেন, ডাক্তার না হয়েও ওই ব্যক্তি কী করে অ্যালোপাথি চিকিতসা করছে, জানি না। জেলা প্রশাসনই বা কী করে হাত গুটিয়ে বসে আছে। পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও দেবেন মাহাত সদর হাসপাতালের চিকিৎসক নয়ন মুখোপাধ্যায়ও সব শুনে অবাক।
দেখুন আরও অন্য খবর: