আসানসোল: দক্ষিণবঙ্গে গত কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে জলমগ্ন পরিস্থিতি। তবে মঙ্গলবার বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও এখনও জলস্তর কমেনি বহু জেলায়। এরই মাঝে মঙ্গলবারের পর ফের বুধবার জল ছাড়ল দুর্গাপুর ব্যারেজ। জানা গিয়েছে, এদিন দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে মোট ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।
নিম্নচাপ ও বর্ষণের ফলে নদীগুলিতে জলস্থর বেড়েছে। ফলে বাংলার ঝাড়খণ্ড সীমান্তের পাঞ্চেত এবং মাইথন জলাধার থেকে টানা তিনদিন জল ছাড়া শুরু করেছে ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি দামোদর নদে জলস্তর বাড়ায় জল ছাড়া শুরু করল দুর্গাপুর ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকাল ৮টা থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে ব্যারেজ কর্তৃপক্ষ। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ল ডিভিসি কর্তৃপক্ষ। মাইথন জলাধার থেকে ৪০ হাজার ও পাঞ্চেত জলধার থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার কিউসেক জল ছাড়ে ডিভিসি। এর ফলে দামোদর নদের তীরবর্তি অঞ্চলগুলিতে বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা আরও বাড়ল বলেই মনে করছে অনেকে। জল বাড়ছে হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়নপুর এলাকা, পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল, পূর্ব মেদিনীপুর। এইসব এলাকা থেকে স্থানীয়দের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বাড়ানো হয়েছে রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকেও।
আরও পড়ুন: বুধবার প্রথম দফায় ভোটগ্রহণ শুরু জম্মু-কাশ্মীরে
মঙ্গলবার মাইথন এবং পাঞ্চেতের জলাধার থেকে মোট ২ লাখ ৭৪ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিল। এই দুটি জলাধার থেকেই জল ছাড়া হলে, তা দামোদর নদ হয়ে পৌঁছয় পশ্চিম বর্ধমানের দামোদর ব্যারেজে। জলের চাপ বাড়তে থাকলে সেখান থেকে বুধবার জল ছাড়ার পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। বর্ধমান, হাওড়া এবং হুগলির খানাকুল, আরামবাগ-সহ দামোদরের তীরবর্তী এলাকাগুলি জলমগ্ন হয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: