কলকাতা: বুধবার সকাল থেকেই অধ্যাপিকা-পড়ুয়ার বিয়ে (MAKAUT Marriage Controversy) নিয়ে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। একটি ভিডিও (Viral Video) দেখেই ‘নানা মুনি নানা মত’ দিয়েছেন। শেষমেষ এই সম্পূর্ণ বিষয়টি বিয়ে মুখ খুললেন নদিয়ার (Nadia) হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি ওরফে ম্যাকাউট-এর অধ্যাপিকা। তিনি বললেন, এই ভিডিও ভাইরালের ঘটনা আসলে তাঁর বিরুদ্ধে একটি ষড়যন্ত্র। অধ্যাপিকার দাবি, তাঁর এক সহকর্মী অধ্যাপক পরিকল্পিতভাবে এই ভিডিও ছড়িয়ে দিয়েছেন।
গোটা ঘটনার সূত্রপাত খুব বেশি আগে হয়নি। সম্প্রতি, সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায় এক অধ্যাপিকা লাল বেনারসি পরে রয়েছেন, গলায় রয়েছে রজনীগন্ধার মালা। এক ছাত্র তাঁকে সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে দিচ্ছে। ক্লাসরুমে এমন দৃশ্য দেখে সমালোচনা শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, কীভাবে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শ্রেণিকক্ষে এইভাবে অসম বয়সের সম্পর্কের বিয়ে (Professor Student Marriage) সম্ভব।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ভিডিওতেও ‘ছি ছি রে ননী’!
বিতর্ক ছড়িয়ে পড়তেই ম্যাকাউটের হরিণঘাটা ক্যাম্পাসের ‘অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি’ বিভাগের ওই অধ্যাপিকাকে ছুটিতে পাঠায় কর্তৃপক্ষ। যদিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়, অধ্যাপিকা মৌখিকভাবে জানিয়েছেন যে, এটি একটি নাটকের দৃশ্য ছিল এবং ফ্রেশার্স’ অনুষ্ঠানের জন্য এই নাটকের রিহারশেল চলছিল। এদিকে ভিডিওতে থাকা প্রথম বর্ষের ছাত্র সংবাদমাধ্যমের সামনে সেভাবে মুখ খুলতে রাজি হননি।
A lady Professor in MAKAUT is ‘getting married’ to her young student in the office. pic.twitter.com/coXaVGH7s7
— Abir Ghoshal (@abirghoshal) January 29, 2025
যদিও ঘটনার পরে বুধবার ওই অধ্যাপিকা দাবি করেন, এই ভিডিয়ো ছড়িয়ে দেওয়ার নেপথ্যে রয়েছেন তাঁর এক সহকর্মী অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘‘অ্যাপ্লায়েড সাইকোলজি বিভাগের প্রধান হওয়ার লোভে কেউ এতটা নীচে নামতে পারে, তা ভাবতেই পারছি না। পরিকল্পিতভাবে আমার সম্মানহানি করা হয়েছে।’’ তাঁর আরও দাবি, বিষয়টি সুপরিকল্পিত চক্রান্ত। তাই তিনি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। অধ্যাপিকা বলেন, ‘‘ঘটনার সময় সেখানে যে সব শিক্ষার্থী এবং শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক। তাহলেই আসল সত্য বেরিয়ে আসবে।’’ যদিও এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
দেখুন আরও খবর: