কলকাতা: পানশালা খোলা, অথচ পাঠশালা বন্ধ। রাজ্যে (State Covid Graph) করোনা (Corona Restrictions) বিধি জারি হওয়ার পর থেকেই এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে সরব হয়েছেন বিরোধীরা। সোশ্যাল মিডিয়াতেও বিরোধিতা করেছেন একাধিক ব্যক্তি। কেউ লিখেছেন করোনা হবে খালি স্কুলে গেলে আবার কেউ লিখেছেন পানশালাতে গেলে করোনা সংক্রমণ হবে না কিন্তু পাঠশালায় গেলে হবে। নানা মুনির নানা মত। সোমবার সাংবাদিকের মুখোমুখি হয়ে যার স্পষ্ট উত্তর দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম(Firhad Hakim)।
এই প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ দায়ী করেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে। জানিয়েছেন, পানশালায় যারা যায় তাঁদের দুটো করে ভ্যাক্সিন নেওয়া আছে। কিন্তু যারা স্কুলে যায় তাঁদের একটাও ভ্যাক্সিনও এখন পর্যন্ত দেওয়া যায়নি। অন্যান্য দেশে বাচ্চাদের করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এ দেশে এখনও তা হয়নি। কেন্দ্রীয় সরকার এখনও ভ্যাক্সিনেশন সম্পূর্ণ করতে পারেনি। তাই বাচ্চাদের জীবনকে বাজি রাখা যাবে না। করোনার জন্য কোনও বয়স হয়না। সকলেই আক্রান্ত হতে পারেন। বাস্তবটাকে বুঝতে হবে। আপাতত স্কুল বন্ধ রয়েছে ১৫ দিন। দেখা যাক, কী হয়। তাঁর পর চিন্তা ভাবনা করা হবে। সংক্রমণের গ্রাফ দেখে আবার নতুন কোনও সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার। সব ঠিক হলে চালু করা হবে স্কুল।
দীর্ঘ দু’বছর বন্ধ থাকার পর, পুজোর পরেই স্কুল খোলার সিদ্ধান্ত নেয় রাজ্য সরকার। যদিও রাজ্যে তখন করোনা গ্রাফ ক্রমশ নিম্নমুখী। স্কুলে গিয়ে পঠনপাঠন শুরু হল। কলেজে পরীক্ষার সময়ও ঠিক হল। কিন্তু হঠাৎই মাত্রা ছাড়িয়ে সংক্রমণ। উৎসবের মরশুমে লাফিয়ে বাড়ল আক্রান্তের সংখ্যা। যেখানে দ্রুত হ্রাস না টানলে আরও খারাপ পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে পারে রাজ্য।
আরও পড়ুন Omicron India: ‘ভারতে তৃতীয় ঢেউ, কলকাতা নয়াদিল্লির মত বড় শহরে চরম গতিতে ছড়াচ্ছে ওমিক্রন’
এই আশঙ্কা থেকেই তড়িঘড়ি আংশিক লকডাউনের পথে হাঁটল রাজ্য সরকার। আপাতত ১৫ দিনের জন্য রাজ্যে জারি কড়া বিধিনিষেধ। এরই মধ্যে দেশে ১৫ থেকে ১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়েছে । তাই আগামী ১৫ দিনের মধ্যে করোনার সংক্রমণের চাকা কোন দিকে ঘোরে সেই অপেক্ষায় রাজ্যবাসি।
আরও পড়ুন রাজ্যে সর্বোচ্চ সংক্রমণ কলকাতায় ,বাড়ল পজিটিভিটি রেট