জলপাইগুড়ি: তিন বছর হয়ে গিয়েছে। সার্টিফিকেট (Certificate) নিয়ে বিভিন্ন জায়গা ঘুরেও মেলেনি চাকরি। এবার খোদ নার্সিং ট্রেনিং সেন্টারের (Nursing Centre) বিরুদ্ধে ভুয়ো সার্টিফিকেট (Fake Certificate) দেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে (Jalpaiguri)। এদিকে ট্রেনিংয়ের জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চেয়ে পথে নামল জলপাইগুড়ির দিশারী নার্সিং এণ্ড টেকনোলজিক্যাল সেন্টার ইন্সটিটিউটের প্রশিক্ষন নেওয়া ছাত্রীরা। শুধু তাই নয় এই বিষয়ে মঙ্গলবার জেলা শাসকের কাছেও স্মারকলিপিও দেওয়া হয়েছে।
ছাত্রীদের বক্তব্য, জেলা শাসক কি ব্যবস্থা নেন সেটা দেখার পরেই পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এদিন জেলাশাসকের কাছে স্মারকলিপি দেওয়ার পর ছাত্রী সুস্মিতা দাস বলেন, আমরা নিজের হাত নিজে কাটতাম। তারপর সেলাই করতাম। রাতে ব্যথায় কাতরাতাম। একজন অন্যজনের শরীর থেকে রক্ত নিত। এইভাবে ট্রেনিং দিত শান্তনু শর্মা। তিন বছর আগে ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তিন মাস নার্সিং ট্রেনিং নিয়েছিলাম। এরপরে সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য আরও ৫ হাজার টাকা নেওয়া হয়েছে। এখানে টাকা দিয়ে আমরা প্রতারিত হয়েছি। আমরা টাকা ফেরত না পেলে আইনের দ্বারস্থ হব। ইতিমধ্যে পদ্মশ্রী করিমুল হক কোতয়ালি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। এবার সেন্টারের প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাত্রীরা চাকরি না পেয়ে জেলাশাকের দ্বারস্থ হওয়ার ঘটনা এই কাণ্ডে নতুন মাত্রা আনছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ডেঙ্গি আক্রান্ত বিধায়ক তাপস চট্টোপাধ্যায়
জলপাইগুড়ি শহরের দিশারী নার্সিং এণ্ড টেকনোলজিক্যাল সেন্টার ইন্সটিটিউটের কাণ্ড নিয়ে বিগত এক সপ্তাহ ধরে নতুন নতুন তথ্য সামনে আসছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কোনও অনুমতি নেই। অথচ দীর্ঘ কয়েক বছর থেকে শান্তনু শর্মা দিশারী নার্সিং এণ্ড টেকনোলজিক্যাল সেন্টার ইন্সটিটিউট চালিয়ে আসছিলেন। গত কয়েক বছরে শতাধিক ছেলে মেয়েদের নাসিংয়ের প্রশিক্ষন দেওয়া হয়েছে এই সেন্টার থেকে। শুধু তাই নয়, ভুয়ো সার্টিফিকেট দেওয়া হচ্ছে প্রশিক্ষণরত ছাত্রীদের। এই অভিযোগের পরই গত ১৯ সেপ্টেম্বর ইন্সটিটিউটে অভিযান চালিয়ে তা বন্ধ করে দেয় জলপাইগুড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এদিকে, এই ঘটনা, সংবাদমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ার পরেই ওই সেন্টার থেকে প্রশিক্ষন নেওয়া ছাত্রীরা তাঁদের অভিযোগ নিয়ে সামনে আসেন।
দেখুন আরও অন্য খবর: