ফলতা : ইসরোর চন্দ্রযান এবার বাংলার মাটিতে। অবাক হচ্ছেন ? না কোন তাবড় তাবড় বিজ্ঞানীরা নন, চন্দ্রযান তৈরি করে একেবারে সাড়া ফেলে দিয়েছে ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাচ্ছারা।
দক্ষিণ ২৪ পরগণার ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের খুদে শিক্ষার্থীরা তৈরি করে ফেলেছে আস্ত একটা চন্দ্রযান। তারা কীভাবে প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে চন্দ্রযান তৈরি করবে? এটাই তো লাখ টাকার প্রশ্ন। তবে সমস্তটাই বাস্তবে করে দেখিয়েছে ফলতা অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছোট ছোট পড়ুয়ারা।
ফাঁকা বোতলের মাধ্যমে চন্দ্রযানের মডেল তৈরি। সেটাও আবার উড়ছে আকাশে! এই প্রসঙ্গে পড়ুয়া তুয়া হালদার জানায়, আমরা আজ বায়ু, জল দিয়ে পাম্পের সাহায্যে কীভাবে রকেট ওড়ানো যায় সেটা শিখেছি। স্কুলের শিক্ষকদের সাহায্যে আমরা এই রকেট বানিয়েছি।
বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের শুধু পুঁথিগত শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা নয়, বরং বাইরের জগতের সাথে পরিচয় করিয়ে দেওয়াকেও লক্ষ্য হিসাবে নিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। এই বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তিলক নস্কর জানান, চন্দ্রযান ৩ এর উৎক্ষেপণ স্মার্ট ক্লাসের মাধ্যমে পড়ুয়াদের দেখানোয়, এই ব্যাপারে দ্বিগুণ উৎসাহ পায় তারা। নিজেরাই হাতেকলমে এই প্রোজেক্ট করার জন্য আমাকে জানায়। তবে পড়ুয়াদের ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়েই আমি বেথানির ফাদার এভিনের সাথে আলোচনা করি। ফাদার এভিনের বন্ধু খড়গপুর আইআইটি প্রফেসর এই চন্দ্রযানের বাস্তব উৎক্ষেপণ করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। মহাকাশ সংক্রান্ত যে কোন বিষয়ে শুনতে ও তা কার্যকরী শিক্ষালাভ করতে পড়ুয়ারা বিশেষভাবে আগ্রহী।
শিক্ষক জয়দেব নস্কর জানান, আমরা পুঁথিগত ও প্রথাগত যে কোন ব্যাপারে পড়ুয়াদের উৎসাহ দিয়ে থাকি।কোন প্রযুক্তিতে তৈরি এই সব কিছুই আমরা পড়ুয়াদের জানানো এবং শেখানোর চেষ্টা করি। আমরা পঠন পাঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন কারিগরি শিক্ষাতেও পড়ুয়াদের উৎসাহ দিয়ে থাকি।
হাতে কলমে চন্দ্রযানের মডেল তৈরি করে বেজায় খুশি পড়ুয়ারা। আগামী দিনে মহাকাশ গবেষণা সংক্রান্ত বিষয়ে নিয়ে, ভবিষ্যত জীবনে আলোকপাত করার ইচ্ছা তো রয়েছেই অনেক শিক্ষার্থীর মনে। আগামীদিনে বিজ্ঞান বিষয়ক বিভিন্ন কর্মশালা নিজেদের ঐকান্তিক উদ্যোগেই আয়োজিত হবে বিদ্যালয়ে, সেটাও একপ্রকার স্পষ্ট।
আরও অন্য খবর দেখুন