শিলিগুড়ি: ফের ধস পাহাড়ে। এর জেরে বন্ধ হয়ে গেল শিলিগুড়ি-সিকিম যোগাযোগ। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। প্রবল বৃষ্টির ফলেই এই ধস নেমেছে। গত কয়েকদিন ধরেই পাহাড়ে বৃষ্টি হচ্ছে। সেনাবাহিনী এবং পূর্ত দপ্তরের সঙ্গে স্থানীয় মানুষজন ও হাত লাগিয়েছে ধ্স সরিয়ে ফেলতে দ্রুত যান চলাচল স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে।
বুধবার পাহাড়ের বেশ কয়েকটি জায়গায় ছোটখাট ধস নামে। আজ, বৃহস্পতিবার সকালে ২৯ মাইল এলাকায় ধস নামে। ফলে বন্ধ হয়ে যায় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে শিলিগুড়ি-গ্যাংটক সড়ক যোগাযোগ। আপাতত ঘুরপথে ৫৫ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে যাচ্ছে গাড়ি। দার্জিলিংয়ের জোড়বাংলা হয়ে তিস্তাবাজারে ঘুরপথে যাচ্ছে গাড়িগুলি। ক্রমাগত বৃষ্টির জন্য উদ্ধারের কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
টানা বৃষ্টির জেরেই পাহাড়ে ধস নেমেছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। মূল রাস্তা ধসের জেরে বন্ধ হইয়ে যাওয়ায় ঘুরপথে পাহাড়ে ওঠার ভিড় বেড়েছে। ভোগান্তিতে পড়ছে পর্যটক থেকে স্থানীয়রা। রাস্তার দু-দিকে গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর, বৃষ্টি না কমলে রাস্তা পরিষ্কার করা সম্ভব হবে না। সেই কারণে শিলিগুড়ি-সিকিমগামী প্রধান সড়কটি পুরোপুরি চালু করা যাবে না।
আবহাওয়া অফিস সূত্রে খবর, বেশ কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি চলছে পাহাড়ে। আগামী ৪-৫ দিন সেই বৃষ্টির পরিমাণ আরও বাড়বে। মৌসুমী অক্ষরেখা বেশ খানিকটা উত্তরে সরে গিয়ে আপাতত হিমালয়ের কাছাকাছি অবস্থান করছে। সেই কারণেই দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহারের মতো জেলাগুলিতে বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।