তমলুক: নন্দীগ্রামে প্রতারণা করে হারানোর বদলা নেবই বলে হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বৃহস্পতিবার হলদিয়ায় নির্বাচনী সভায় (Election Meeting Haldia) তিনি বলেন, নন্দীগ্রামে (Nandigram) আমাকে প্রতারণা করে হারানো হয়েছে। ক্ষমতার বলে ডিএম, এসপি সবাইকে চেঞ্জ করা হয়েছিল। রিগিং করে ভোট লুঠ হয়েছে। নির্বাচন হয়ে যাওয়ার পরই লোডশেডিং করে রেজাল্ট পাল্টে দেওয়া হয়েছিল। আজ হোক, কাল হোক, এর বদলা আমি নেবই। কীভাবে নেব, সেটা সময় বলবে।
এদিন হলদিয়ায় তৃণমূল প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্যের (Trinamool candidate Devanshu Bhattacharya) হয়ে প্রচারে যান মমতা। তৃণমূল নেত্রীর নিশানায় প্রথম থেকেই ছিল অধিকারী পরিবার। মমতা বলেন, আমার সঙ্গে প্রতারণা হয়েছে, ছাপ্পাভোট হয়েছে। বিধানসভা ভোটে নন্দীগ্রামের পরাজয় নিয়ে আদালতেও গিয়েছেন তিনি। তার ফয়সালা এখনও হয়নি। এই প্রথম সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী ‘বদলা’র হুঁশিয়ারি দিলেন। নাম না করে তিনি রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও আক্রমণ করেন। মমতা বলেন, চিরকাল ইডি-সিবিআই-ইনকাম ট্যাক্স কোলে রেখে দেবে না। একদিন না একদিন উপযুক্ত জায়গায় পড়বেন। যাঁরা করেছেন, তাঁদের বলছি, ঈশ্বর থাকলে বুঝতে পারবেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনাদের যা খাওয়ায়, তাই খান আপনারা। নিজেদের চোখ কান নেই। ক্ষমতায় আছে বলে কমিশনকে দিয়ে মেদিনীপুর লুঠ করেছে। আমি আদালতে মামলা করেছি। পড়ে আছে এখনও।
আরও পড়ুন: অর্থ নয়ছয় আইনে আদালতের অনুমতি ছাড়া গ্রেফতার নয়, ইডিকে নির্দেশ
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এখানে যারা গদ্দারি করেছে, তৃণমূলের খেয়ে, তৃণমূলের লুঠ করেছে, আমরা জানতেও পারিনি। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি বাতিল নিয়েও তিনি শুভেন্দুকে নিশানা করেন। ২৬ হাজার ছেলেমেয়ে মুখ খুলছে না, যদি সত্যিটা বেরিয়ে পড়ে। কার কাছ থেকে কে কত নিয়েছেন, তাঁরা যদি একবার বলে দেন। মেদিনীপুরে সংখ্যাটা বেশি। কিচ্ছু না, চুপচাপ আমাকে বলে দেবেন, আমি আপনাদের কারও ক্ষতি করতে দেব না। আপনাদের জেলায় চাকরিখেকো বাঘ রয়েছে।
অন্য খবর দেখুন