কৃষ্ণনগর: সোমবার কৃষ্ণনগরের জনসভা থেকে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে কড়া বার্তা দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঞ্চ থেকেই মমতার বার্তা, দলের নেতা-বিধায়করা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। ঝগড়া করলে দল থেকে বার করে দেব। ইগো থাকলে কাজ করতে হবে না। বাড়িতে বসে থাকুন।
প্রসঙ্গত, বেশ কয়েকদিন ধরে তৃণমূলের অন্দরে একাধিক ইস্যু নিয়ে অশান্তির অভিযোগ উঠছে। দলের নেতারাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টা স্বীকার করে নিয়েছেন। পরিস্থিতি সামাল দিতে শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপ করতে হয়েছে। নদিয়া জেলাতেও তৃণমূল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে দীর্ণ। সাংসদ মহুয়া মৈত্র থেকে শুরু করে দলের জেলা সভাপতি, অনেক জেলা পরিষদ সদস্য, বিধায়ক সকলেরই নিজস্ব গোষ্ঠী রয়েছে। বিভিন্ন গোষ্ঠীর মদ্যে বচসা মারামারি প্রায়ই লেগে থাকে। এর আগেও একাধিকবার নেত্রী প্রশাসনিক সভাতে দলের নেতা-নেত্রীদের সতর্ক করে দিয়েছেন। কিন্তু তাতেও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমার কোনও লক্ষন দেখা যায়নি। বুধবার কৃষ্ণনগরের জনসভায় সে বিষয়েই মুখ খোলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। দলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোনওভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট বার্তা দেন তিনি। এদিন মমতা বলেন, দলের নেতা-বিধায়কেরা নিজেদের মধ্যে ঝগড়া করবেন না। দলে পুরনোদের সম্মান দিন। নতুন করে তৈরি হন। নেতা-কর্মীরা গ্রামে যান, পাড়ায় পাড়ায় যান। মানুষের সঙ্গে কথা বলুন। তাদের সমস্যার কথা শুনুন।
আরও পড়ুন:Factory Closed: শ্রমিক বিক্ষোভে বন্ধ কারখানা, অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা ভাবছে কর্তৃপক্ষ!
পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, নেতাদের কলকাতার সঙ্গে যোগাযোগ করে লাভ নেই। যাঁরা ভালো কাজ করবেন, তাঁদের আমরা ঠিক খুঁজে নেব। ঝগড়া করলে তৃণমূলে জায়গা হবে না। তৃণমূলে কোনও লবি নেই। তৃণমূল মা-মাটি-মানুষের দল। তৃণমূল ঐক্যবদ্ধ থাকলে বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস কিছু করতে পারবে না। যাওয়ার আগে নতুন তৃণমূলে নতুন প্রজন্ম তৈরি করব। নতুন আর পুরনোর মিশেলে তৃণমূল হবে এক শান্তির পরিবার।
দলের অন্দরে দ্বন্দ্ব মেটাতে বুধবার জনসভা থেকে একটি কমিটি গঠন করে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে মহুয়া মৈত্র, বিধায়ক উজ্জ্বল বিশ্বাস-সহ জেলার সমস্ত বিধায়ক জায়গা পেয়েছেন। এদিন নেত্রীর নির্দেশ, সকলকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মানুষের হয়ে কাজ করতে হবে।