হরিপাল: যখন আরজি কর কাণ্ড নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ, তখন ফের নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে এলো। এবার হুগলির হরিপাল। জানা গিয়েছে, এদিন হরিপালের গোপীনগর কাঠ গোলার ধারে অচৈতন্য অবস্থায় অন্ধকার গলির মধ্যে এক নাবালিকাকে পাওয়া যায়। এরপর পুলিশ এসে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, নাবালিকার অবস্থা স্থিতিশীল।
কিন্তু ঠিক কী হয়েছিল?
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে গোপীনগর কাঠ গোলার ধারে অচৈতন্য অবস্থায় অন্ধকার গলির মধ্যে এক নাবালিকাকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় বাসিন্দা বাসন্তী হাঁসদার কথা অনুযায়ী, তাঁর বাড়ির লোক বাজারে গিয়েছিল। বাড়ি ফেরার পথে অন্ধকারের মধ্যে নগ্ন অবস্থায় এক নাবালিকাকে পড়ে থাকতে দেখে বাড়িতে এসে জানায়। এরপর সঙ্গে সঙ্গে বাসন্তী দেবী ওই নাবালিকার কাছে যান। দেখেন, সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই নাবালিকা। পাশে পড়ে রয়েছে চুড়িদারের প্যান্ট, জামা এবং গায়ের ওড়না। সঙ্গে সঙ্গে নাবলিকাকে জামা পরিয়ে দেন তিনি। ওই নাবালিকার সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, তার বাড়ি সিঙ্গুরের নসিবপুরের খালধার এলাকায়। টিউশন পড়ে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ করেই একটি চার চাকা গাড়িতে তাকে তুলে নেয় কয়েক জন। এরপর কি হয়েছে তার আর মনে নেই।
এরপর থানায় খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে, নাবালিকাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর নাবালিকা সুস্থ আছে বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে হাসপাতালে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় সিপিআইএম কর্মীরা। সিপিআইএম হরিপাল এরিয়া কমিটির সম্পাদক মিন্টু বেরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। এ বিষয়ে হুগলি জেলা গ্রামীণ পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন জানিয়েছেন, নাবালিকা উদ্ধারের ঘটনায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে।