সিউড়ি: অজানা জ্বরে মৃত্যু চার বছরের শিশুর। আক্রান্ত মা ও দাদাও। তারপরেই স্বাস্থ্য দফতরের তৎপরতায় মৃত শিশুর বাড়ি গিয়ে রক্ত পরীক্ষা করা হয় তাঁর পরিজন ও প্রতিবেশীদের। মৃত ওই শিশুর মা ও আরও একজনের শরীরে মেলে স্ক্র্যাব টাইফসের ভাইরাস। মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিকের দাবি, স্বাস্থ্যজেলা জুড়ে জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১০০ জন আক্রান্ত হয়েছে কিন্তু এখন তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ ।
অজানা জ্বর প্রাণ কেড়েছে এক শিশুর। দুবরাজপুর পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা সোমনাথ মণ্ডলের সাড়ে তিন বছরের শিশু অরিত্র মণ্ডলের মৃত্যু হয় বুধবার। জ্বর, বমি, পায়খানা, মাথা ব্যথা উপসর্গ লক্ষ্য করে পরিবারের সদস্যরা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অচৈতন্য হয়ে পড়ে ওই শিশু। তাকে নিয়ে যাওয়া হয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা না মেলায় অরিত্রকে নিয়ে যাওয়া হয় দুবরাজপুর গ্ৰামীণ হাসপাতালে। শিশুর অবস্থা দেখে অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসক। গ্ৰামীণ হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে নিয়ে যাওয়া হয় দুবরাজপুরের আরও একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসা শুরু হয় অরিত্রের। চিকিৎসা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অরিত্রকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুন: প্রয়াত রাজ্যের প্রাক্তন কারামন্ত্রী বিশ্বনাথ চৌধুরী
মৃত শিশুর দাদু জানিয়েছেন, জ্বর, বমি, পায়খানা, মাথা ব্যথা ছিল। চিকিৎসার জন্য একের পর এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় অরিত্রকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অরিত্রের মা ও দাদা জ্বরে আক্রান্ত। জ্বরে আক্রান্ত রয়েছেন এলাকায় বেশ কয়েকজন। খবর চাউর হতেই জেলা স্বাস্থ্য দফতর থেকে একটি মেডিক্যাল টিম পাঠানো হয়। ছিলেন জেলার এনটোমোলজিস্ট প্রিয়ব্রত সরকার, দুবরাজপুর ব্লকের পাবলিক হেল্থ ম্যানেজার ঋক্তা মুখার্জি সহ আরও অনেকে। তাঁরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন এবং অরিত্রের মা ও দাদার রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যান। মৃত শিশুর পরিজন ও প্রতিবেশী সহ প্রায় ১৫ জনের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তারই মধ্যে দুইজনের রক্তে মেলে স্ক্রাব টাইফাসের ভাইরাস।
বীরভূম স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক হিমাদ্রি আড়ি জানান, ১৫ জনের মধ্যে দুইজনের রক্তে স্ক্রবটাইফাসের ভাইরাস মিলেছে। জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০০। তবে তাঁরা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন।
দেখুন আরও অন্যান্য খবর: