কলকাতা: ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের (DYFI) ডাকে ইনসাফ যাত্রার (Insaf Ytara) শেষে ব্রিগেড ভরালেন বাম ছাত্র-যুবরা। আজ রবিবার ব্রিগেডের সমাবেশে DYFI-এর ডাকে হাজার হাজার মানুষের জামায়েত চোখে পড়ে। সিপিএমের যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআই-এর ৫০ দিনের ‘ইনসাফ যাত্রা’ শেষ হয়েছিল গত ২২ ডিসেম্বর। এরপর নির্ধারিত সূচি অনুযায়ী রবিবার ব্রিগেডে হল ‘ইনসাফ সমাবেশ’।
‘ইনসাফ সমাবেশ’-এর মঞ্চ মাতালেন DYFI-এর ক্যাপ্টেন মিনাক্ষী মুখোপাধ্যায় (Minakshi Mukherjee)। মঞ্চে উঠেই তিনি বলেন, ‘যে মাঠে বলেছিল খেলা হবে, তার দখল নিতে এসেছি। ভারতীয় সংবিধানের প্রস্তাবনার পাঠ পড়ে মাঠ ছাড়ব। তাঁর কথায়, গোটা রাজ্যের রাজনীতির যখন দখল নেয় বামেরা, তখন ডানদিকের অসুবিধা হয়। তিনি জানান, ‘লড়াই শুরু’, ‘ইনসাফ যাত্রা’ শেষ হয়েছে। তা বলে লড়াই শেষ হয়নি। মিনাক্ষী জানালেন, ছোট থেকে বাবার সঙ্গে ব্রিগেডে আসছেন তিনি। তখন অন্য দিকে হত মঞ্চ। এরপরেই চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের কথা বলেন তিনি। জানালেন, টিভি ক্যামেরার সামনে নিজের শরীরের সব থেকে সুন্দর অংশ চুল কেটে ফেলেছেন যে শিক্ষিকা, তার পাশে দাঁড়াতে হবে। মঞ্চ থেকেই মনে করালেন নিহত বামকর্মীদের কথা।
আরও পড়ুন: সবুজ ব্রিগেড লালে লাল করল যৌবনের ডাক
তৃণমূলকে নিশানা করে নেত্রী বলেন, ‘‘আমাদের ঘরের টাকা, ১০০ দিনের কাজের টাকা লুট করার সাহস হত না। অনেক আশা নিয়ে তৃণমূলকে ভোট দিয়েছিলেন, আকাশ থেকে নেমে কোনও ‘ফরিস্তা’ আমাদের ভাল করবে। কিন্তু বেঁচে থাকতে চাইলে আসুন লড়াইয়ে।’’ ব্রিগেডে ‘ইনসাফ সমাবেশ’-মঞ্চ থেকে রাজ্যের শাসক দলের পাশাপাশি কেন্দ্রের বিজেপিকেও চূড়ান্ত কটাক্ষ করেন মিনাক্ষী। বলেন, এরা রেল বিক্রি করছে, নদী-নালা বিক্রি করছে। মিনাক্ষীর কথায়, বামপন্থীরা রক্তবীজের জাত, লড়ে যাবে-লড়ে যাবে। মঞ্চ ছাড়ার আগে মিনাক্ষী বলেন, কারা বলে বামপন্থীরা শূন্য। ওঁরা বামেদের ভয় পান। আমাদের রাগ নেই। ভয় নেই। কিন্তু আশঙ্কা রয়েছে, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভ রুটিরুজির কথা বলছে কি না!’’
আরও খবর দেখুন