কলকাতা: বুধবার বারুইপুর সংশোধনাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেলেন ভাঙড়ের তাজা তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম। তিনি মুক্তি পাওয়ার আগেই ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতি থেকে সরিয়ে দেওয়া হল আরাবুলের নেমপ্লেট। ২০২৩ সাল থেকে তিনিই ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি। নেমপ্লেট সরানো হলেও তাঁকে সরানো যে সহজ হবে না, এদিন জেল থেকে বেরিয়ে সেই ইঙ্গিতই দিলেন ভাঙড়ের তাজা নেতা। তিনি বলেন, আমি নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের ভোটে আমি সভাপতি হয়েছি।
এদিন সংশোধনাগারে হাজির ছিলেন আরাবুলের কয়েকশো অনুগামী। বেরনোর পরই গলায় মালা পরিয়ে তাঁকে সংবর্ধনা জানান অনুগামীরা। তাঁর মুখে বারবার শোনা গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। তিনি দুজনেরই সুস্থতা কামনা করেন। তাঁর মুখে একবারও শোনা যায়নি ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক এবং ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার নাম। সপ্তাহখানেক আগেই ভাঙড়ে দলের এক সভায় শওকত বিস্ফোরক অভিযোগ করেন আরাবুলের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ ছিল, আরাবুল এক তৃণমূল নেতাকে খুনের পরিকল্পনা করেছিলেন। শওকতের আরও অভিযোগ, আরাবুল অনেককে টাকার বিনিময়ে পঞ্চায়েত সদস্য করার টোপ দিয়েছিলেন। নিজের ছেলেকে টিকিট দেওয়ার জন্য আরাবুল তাঁকে অনুরোধ করেছিলেন বলেও জানান শওকত। এদিন আরাবুল বলেন, আজ আর কিছু বলছি না। এক সপ্তাহ পর এসব কথার জবাব দেব সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে। এর থেকেই বোঝা গেল, আরাবুল আছেন আরাবুলেই।
আরও পড়ুন: পুনর্বাসনের জায়গা পছন্দ নয়, প্রতিবাদে পথ অবরোধে হকাররা
ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির অফিসে এখন সভাপতির ঘরে বসছেন সহ সভাপতি সোনালি বাছাড় এবং শওকত ঘনিষ্ঠ খইরুল ইসলাম। এই খইরুলকেই খুনের চেষ্টার অভিযোগ শওকত করেন আরাবুলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছিলেন, এই কথা আমাকে জানিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
২০০৮ সালে ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতি যায় তৃণমূলের হাতে। সেবার সভাপতি হন আমিনা বেগম। আরাবুল সেই সময় ভাঙড়ের বিধায়ক ছিলেন। তখন থেকেই পঞ্চায়েত সমিতিতেই আরাবুলের অফিস ছিল। ২০১৩ সালে পঞ্চায়েত ভোটে জিতে সমিতির সভাপতি হন আরাবুল। তখনই ওই নেমপ্লেট লাগানো হয়েছিল। পরের পঞ্চায়েত ভোটে সমিতির সভাপতি হলেও তিনি অফিস ছাড়েননি। গত বছর ফের ভাঙড় ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন তিনি। পাঁচমাস আগে গ্রেফতার হওয়ার পর তাঁর আসনে বসছেন সোনালি বাছাড়।
দেখুন অন্য খবর: