কলকাতা: রাজ্যজুড়ে কর্মবিরতির ডাক আলু (Potato Supply Strike) ব্যবসায়ীদের। নির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন আলু ব্যবসায়ীরা। যার জেরে মঙ্গলবার থেকে রাজ্যজুড়ে টান পড়তে পারে আলুর জোগানে। এমনকি বাড়তে পারে আলুর দামও (Potato Price Hike)। একদিকে সবজির বাজার অগ্নিমূল্য অন্যদিকে আলু দাম বাড়লে না খেয়ে থাকতে হবে আমজনতাকে। ব্য়বসায়ীদের অভিযোগ, আলুর দাম কমাতে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছে সরকার। ভিনরাজ্যে রপ্তানিতেও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে রাজ্য সরকার। অন্যদিকে পুলিশের জুলুমবাজি। এসবের প্রতিবাদেই অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘটের ডাক দিলেন আলু ব্যবসায়ী সমিতি।
মঘর খোলা, কিন্তু তার থেকে বের হচ্ছে না আলু। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশের পর আলুর দাম কমানোর ব্যাপারে সরকারি চাপের মুখে পড়ে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীরা। তাদের অভিযোগ, কখনও বাজারে ট্রাক্সফোর্সের অভিযান, কখনও আবার হিমঘরে আধিকারিকদের হানা। বাজারে জোগান বাড়িয়ে আলুর দাম কমাতে গিয়ে লিখিত নির্দেশ ছাড়াই আলুবোঝাই ট্রাক রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্তে আটকে রাখা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে শনিবার কর্মবিরতির সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যবসায়ীদের ওই সংগঠন। সোমবার রাজ্যের হিমঘর থেকে আলু বেরনো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে আগামিদিনে যে চরম সমস্যা পড়ে হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। সোমবারই কলকাতার বাজারগুলোতে জ্যোতি আলুর দাম ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা চন্দ্রমুখী ৩৮ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। জেলাগুলিতেও প্রায় একই ছবি।
আরও পড়ুন: একুশে জুলাই সভায় যোগ দিতে আসা তৃণমূল কর্মীর দেহ উদ্ধার সৈকত থেকে
প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীদের সঙ্গে হিমঘরের কোন যোগ নেই,দাবি হিমঘর মালিকের। লাগাতার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছে প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ীরা। যার জেরে আগামিদিনে আলুর দাম আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন হিমঘর মালিক থেকে ক্রেতা বিক্রেতা সকলেই। হিমঘর খোলা আছে,তবে সকাল থেকে কোন ব্যবসায়ী আলু বের করতে আসেনি চুঁচুড়া হিমঘরে। মঙ্গলবার থেকেই বাজারে দেখা দিতে পারে আলুর সঙ্কট। আলু যদি হিমঘরেই থেকে যায়,তবে যোগান কমবে বাজারে। হিমঘর থেকে যে আলু দুদিন আগে বের করা হয়েছিল তা বাজারে নেই বললেই চলে। ফলে বাজারে আলু, সঙ্কট দেখা দেবে। যা রয়েছে বাজারে তার দাম বাড়বে,বলছেন খুচরো ব্যবসায়ীরা।
চুঁচুড়া হিমঘরের কর্ণধার রাজেন্দ্র প্রসাদ আগরওয়াল বলেন অন্যান্য দিনের মতই সকাল থেকে হিমঘর খোলা আছে,তবে কোন ব্যবসায়ী আলু বের করতে আসেনি।যদি কোন ব্যবসায়ী বা চাষী তার আলু বের করতে আসে,আমরা দিতে বাধ্য।আমাদের তরফে কোন বনধ নেই।সব হিমঘর মিলিয়ে রাজ্যে ৪১ লক্ষ মেট্রিকটন আলু রয়েছে যা রাজ্য জন্য যথেষ্ঠ।এখন যদি আলু না বের করে পরবর্তী সময়ে মজুত বেশি হয়ে যাবে।
চুঁচুড়ার খুচরো ব্যবসায়ী সমর দাস বলেন দাম টা কমলে বেচা কেনা ভালো হতো। যারা এক কিলো নিত,তারা ৫০০ আলু নিচ্ছে।ধর্মঘট হলে আলু পাওয়া মুশকিল হবে। আগের মত বিক্রি হচ্ছেনা।
দেখুন ভিডিও