দুর্গাপুর: শিক্ষকদের কর্মবিরতি আন্দোলনে শামিল হলেন তৃণমূলের শিক্ষা সেলের দুই সদস্য। দুর্গাপুরের (Durgapur) নডিহা হাইস্কুলে (High School) অন্য শিক্ষকদের (Teachers) সঙ্গে ওই দুই তৃণমূলপন্থী শিক্ষকও দুদিন ধরে ক্লাস করলেন না। ক্যামেরার সামনেই তাঁদের প্রশ্ন, ডিএ (Dearness Allowance) কে না চায় ? প্রধান শিক্ষক অরুন কুমার মাজিও স্বীকার করেন এই আন্দোলন ন্যায্য দাবির ভিত্তিতে।
দুদিন ধরেই ২৭ জন শিক্ষক স্কুলে আসছেন। কিন্তু তাঁরা কোনও ক্লাস নিচ্ছেন না। এই অবস্থায় পড়ুয়ারা (Students) গল্প, গান করে সময় কাটাচ্ছে। এরই মধ্যে কিছু উঁচু ক্লাসের পড়ুয়া নিচু ক্লাসের (Class) ছাত্রদের ক্লাসও নিয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের এই আন্দোলনকে ভালো চোখে দেখছেন না স্কুল পরিচালন সমিতির সভাপতি অঞ্জন মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শিক্ষকরা স্কুলে আসছেন, অথচ ক্লাস করছেন না। এ কেমন কথা। ছাত্রদের স্কুলের ঘণ্টা বাজাতে হচ্ছে, নিচু ক্লাসের ছাত্রদের পড়াতে হচ্ছে। এটা কি ঠিক হচ্ছে?
আরও পড়ুন : Chandrima Bhattacharya: আন্দোলনের নামে ভাঙচুর লুটপাট রুখতে বিল বিধানসভায়
প্রসঙ্গত, বকেয়া ডিএ (DA)-এর দাবিতে সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ সোমবার এবং মঙ্গলবার সরকারি অফিস, আদালত, স্কুল, কলেজে কর্মবিরতি পালন করে। অধিকাংশ জেলায় এই কর্মবিরতি সাড়া ফেলেছে বলে যৌথ মঞ্চের দাবি। রাজ্যসরকার কর্মবিরতি রুখতে কড়া নির্দেশিকা জারি করে। তাতে বলা হয়, এই দুদিন কেউ ছুতি নিতে পারবে না। ছুটি নিলে বা অনুপস্থিত থাকলে চাকরিতে ছেদ পড়ে যাবে। আরও বলা হয়, এই দুদিন অনুপস্থিস থাকলে সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় কর্তারা কর্মচারীদের শোকজ করবেন। সেই শোকজে জবাব সন্তোষজনক না হলে সংশ্লিষ্ট কর্মচারীদের বীরুধে কঠোর আয়ইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু সেই সরেকারি হুমকি উপেক্ষা করে বহু জায়গায় সরকারি কর্মচারী, শিক্ষকরা কর্মবিরতিতে শামিল হয়েছেন।