ইসলামপুর: ফের দুয়ারে সরকারের (Duare Sarkar) ক্যাম্পে বিক্ষোভ। সাধারণ মানুষ সকাল থেকে লাইন দিয়েও দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে পরিষেবা না পেয়ে হয়রানি শিকার হচ্ছে। সেই হররানির প্রতিবাদে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ক্যাম্পের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ। এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়, ঘটনাস্থলে পুলিশবাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এক সরকারি আধিকারিকের দাবি, সামান্য কিছু সমস্যা হয়েছিল, মিটে গিয়েছে। ঘটনা উত্তর দিনাজপুরের (North Dinajpur) আগডিমটি খুন্তি অঞ্চলের।
কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্রের মতো পরিষেবার পাশাপাশি বিধবা ভাতা, ওবিসিদের স্কলারশিপ দেওয়ার প্রকল্প মেধাশ্রী, মাইক্রো ইরিগেশন প্রকল্প এবং ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড-এই চারটি নতুন প্রকল্পের পরিষেবাও মিলছে এই দফার দুয়ারে সরকার প্রকল্পে। এবার দুয়ারে সরকার কর্মসূচি ঘিরে কড়া নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। জেলা ও ব্লক স্তরের ক্যাম্পের জন্য সিনিয়র আইএএস অফিসারদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন:WBPDCl | বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রথম বক্রেশ্বর, দ্বিতীয় সাঁওতালডিহি
গত ১ এপ্রিল থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই এলাকায় এখন রমজানের উপবাস চলছে। অন্যদিকে সকাল থেকে প্রখর রোদ। বৃহস্পতিবার ইসলামপুর (Islampur) ব্লকের আগডিমটি খুন্তি অঞ্চলের দিঘলবস্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুয়ারে সরকার শিবিরের আয়োজন করা হয়। সরকারি সুবিধা পেতে সংখ্যালঘু বহু মানুষ সকাল থেকে লাইন দাঁড়িয়ে ছিলেন। সকাল আটটায় শিবির শুরু হওয়ার কথা থাকলেও বেলা সাড়ে এগারোটার নাগাদ সরকারি কর্মীরা ক্যাম্পে আসেন। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি আকবর আলি (Trinamool regional president Akbar Ali) জানান, সরকারি প্রকল্পের আবেদনপত্র অপ্রতুল থাকায় দূরদূরান্ত থেকে আসা গ্রামবাসিরা ফর্ম না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। আকবর আলির বাড়ি ক্যাম্পের পাশেই। সাধারণ মানুষকে সাহায্য করতেই সকাল সকাল তিনি ক্যাম্পে হাজির হন। দীর্ঘক্ষন দাঁড়িয়ে থাকার পরও ক্যাম্প চালু না হওয়ায় ক্ষোভে ক্যাম্পের সমস্ত আসবাবপত্র বাইরে ফেলে দেন। তাঁকে সমর্থন জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। সরকারি কর্মচারিদের সঙ্গে তাঁর বচসাও হয়। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে আসে।