রামপুরহাট: বগটুইয়ের হত্যালীলার (Rampurhat Violence) পর পাঁচদিন পেরিয়ে গিয়েছে। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) গ্রামে গিয়ে গ্রামবাসীদের নিরাপত্তা নিয়ে আশ্বস্ত করেছেন। নিরাপত্তাও বাড়ানো হয়েছে। ৫০-এর বেশি পুলিসকর্মী সর্বক্ষণ গ্রামে থাকছেন। তা সত্ত্বেও আতঙ্ক কাটছে না বগটুইবাসীর। এখনও থমথমে গোটা গ্রাম। কিছু মানুষজন গ্রামে থাকলেও বাড়ির বাইরে বেরতে দেখা যাচ্ছে না তাদের। সোনা শেখের বাড়ির সামনে পুলিস পিকেট রয়েছে।
ঘটনার পর থেকেই রাজ্য সরকারের তৈরি করা সিটই তদন্ত করছিল। ২২ জনকে গ্রেফতারও করে তারা। কিন্তু শুক্রবার হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, বগটুই কাণ্ডের তদন্ত করবে সিবিআই। তার পরই একাধিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সূত্রের খবর, বগটুইকাণ্ডের তদন্তে ডিআইজি অখিলেশ সিংহের নেতৃত্বে সিবিআইয়ের বিশাল টিম শুক্রবার রাতেই রামপুরহাটে পৌঁছেছে। তদন্তকারী দলে রয়েছেন ৩০ জন।
তদন্তভার হাতে পাওয়ার পরই বীরভূমের পুলিস সুপারকে ই-মেল করে এফআইআর, অভিযোগপত্রের কপি চায় সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে দ্রুত তা পাঠিয়েও দেয় বীরভূম জেলা পুলিস। জেলা পুলিসের অভিযোগপত্রের ভিত্তিতে ১০টি ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই। আজ থানায় গিয়ে মামলার সমস্ত নথি, কেস ডায়েরি সংগ্রহ করার পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যেতে পারেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন: Rampurhat Violence: মুখ খোলায় প্রত্যক্ষদর্শীদের ফোনে হুমকি, থানায় অভিযোগ মহিলার
রামপুরহাট হত্যাকাণ্ডে ধৃত তৃণমূল নেতা আনারুল হোসেন-সহ ২২ জনকে রামপুরহাট থানায় রাখা হয়েছে। সিবিআই ধৃতদের আজ থেকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বগটুইয়ের বেশ কয়েকটি পরিবার সাঁইথিয়ার বাতাসপুরে আশ্রয় নিয়েছে। সিবিআইয়ের আধিকারিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। আজ রামপুরহাটের মহকুমা শাসকের দফতরের সামনে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর।