কলকাতা: হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরি ফিরে পেলেন ষাটোর্ধ্ব খড়গপুরের শিক্ষিকা সাবিত্রী দে। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Gangopadhyay) নির্দেশ দেন ওই শিক্ষিকার (Teacher) বকেয়া বেতন রাজ্য সরকারকে মিটিয়ে দিতে হবে।
২০০৩ সালে সর্বশিক্ষা মিশনের অধীনে শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত হন সাবিত্রী দে। তাঁর পোস্টিং হয় খড়গপুরের মা শীতলা শিশু শিক্ষা কেন্দ্রে বিদ্যালয়ে। তাঁর অবসরের বয়সসীমা ৬৫। তবে তাঁর বয়স ৬০ এর কোটাই পৌঁছতেই সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ ওই শিক্ষিকাকে অবসর (Retirement) নিতে বাধ্য করেন।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে শিশু শিক্ষা মিশনের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় ৬০ উর্ধ সর্বশিক্ষা মিশনের শিক্ষিকারা ইছে করলে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করতে পারবেন। সাবিত্রী দেবী প্রথমে অবসরের আবেদন করেছিলেন, তবে তিনি কিছুদিনের মধ্যেয় সেই আবেদন প্রত্যাহার করে আর্জি জানান। এরপর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে তাঁর বেতন বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষিকার আইনজীবী অনিন্দ্য ভট্টাচার্য আদালতে দাবি করেন, বেতন বন্ধের পর এসডিও ও জেলার নোডাল অফিসারের কাছে তিনি লিখিতভাবে বিষয়টি জানান। পাশাপাশি তিনি আরও জানান ওই বিদ্যালয়ের তিনিই একমাত্র সর্বশিক্ষা মিশনের শিক্ষিকা। কিন্তু তাতেও কোনও সূরাহা হয় না।
আরও পড়ুন: Hindenburg-Adani Row: সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শ মেনে কমিটি নিয়োগে রাজি কেন্দ্র
শিক্ষিকার আইনজীবীর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি আইনজীবী সারোয়া জাহান আদালতে একটি রিপোর্ট পেশ করেন। সেখানে তিনি জানান বিভাগীয় ত্রুটির জন্য সাবিত্রী দে-এর বেতন বন্ধ রয়েছে।
সোমবার ওই মামালার শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ দেন, সাবিত্রী দেবীকে ৬৫ বছর পর্যন্ত চাকরিতে বহাল রাখতে হবে। পাশাপাশি ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে তাঁর বকেয়া বেতন যত দ্রুত সম্ভভ দিয়ে দিতে হবে। এই মাস থেকে তাঁর নিয়মিত বেতন চালু করতে হবে।