কলকাতা: সকালে ইস্তফা আর বিকেলে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজে অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ। সোমবার আরজি করের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেন সন্দীপ রায়। এদিন বিকেলেই তাঁকে ন্যাসানাল মেডিক্যাল করেজের অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ করল স্বাস্থ্য দফতর।
এদিন তিনি স্বেচ্ছায় ইস্তফা দেওয়ার পরে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, যে ভাবে তাঁকে গালিগালাজ করা হয়েছে, তাতে তাঁর খুব খারাপ লেগেছে। সে জন্যই তিনি স্বেচ্ছায় আরজি করের অধ্যক্ষের পদে ইস্তফা দিয়েছেন। তিনি ছেড়ে দিয়েছেন চাকরিও। তবে চাকরিতে ইস্তফা দিলেও রাজ্য সরকার তাঁকে অন্য কোথাও সরিয়ে দেবে। সকালে একটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পর বিকালেই তাঁকে আবার শহরেরই অন্য একটি মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষের পদে বহাল করা হয়।
আরও পড়ুন: আরজি কর কাণ্ড: কলকাতায় জাতীয় মহিলা কমিশন
আরজি কর হাসপাতালে নারকীয় কাণ্ড ঘটে যাওয়ার পর থেকেই আন্দোলনকারীদের নিশানায় সন্দীপ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ বিস্তর। অভিযোগ, ওই হাসপাতালে বিভিন্ন দুষ্কর্মের সঙ্গে জড়িত থাকার। অভিযোগ, হাসপাতালে ন্যক্কারজনক ঘটনাটির তথ্যপ্রমাণ লোপাট করার এবং মৃতার বাড়িতে ফোন করে বলার যে, ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন। বলা হচ্ছে, সন্দীপ বলতে পারতেন, ওই যুবতীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। তা না-বলে আগ বাড়িয়ে কেন তিনি বললেন, ঘটনাটি আত্মহত্যার।