কলকাতা: যাদবপুর কাণ্ডে উঠে এলো আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার দিন প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া মেন হোস্টেলের ৬৫ নম্বর রুমে গিয়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল। আর ওই রুমেই দাদাগিরি চলত ধৃত সত্যব্রত, সৌরভ ও সপ্তকদের। এমনকী বিতর্কিত ওই চিঠি লেখার সময় উপস্থিত ছিলেন ধৃত আরও এক পড়ুয়া নাসিম, এমনটাই পুলিশ সূত্রে খবর। পাশাপাশি এদিনই ফরেনসিকের টিম গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সঙ্গে ছিল বায়োলজিক্যাল টিমও। এই টিমের প্রতিনিধিরাও পরীক্ষা করে দেখেন ঘটনাস্থল।
এদিন তদন্তের স্বার্থে ফের পুনর্নির্মাণ করা হয়। মেন হস্টেলের তিন তলার বারন্দা থেকে পুতুল ফেলে পুনর্নির্মাণ করে পুলিশ। সূত্রের খবর, সোমবার ওই পড়ুয়ার একটি প্রতীকী পুতুল বানানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই তা যাদবপুরের মেন হস্টেল অর্থাৎ ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। হস্টেলে তিন তলার বারান্দা থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছিল ওই পড়ুয়ার। পুলিশ সূত্রে খবর, তিন তলার বারান্দা থেকে ওই পুতুল নীচে ফেলে পুনর্নির্মান করা হয়। সায়েন্টিফিক উইং, ফরেন্সিকের প্রতিনীধি দলের উপস্থিতিতেই এই পুনর্নির্মানের কাজ হয় বলে জানা গিয়েছে।
সূত্রের খবর, এদিন এই ঘটনায় যাদবপুর থানায় ডিসি ও এসএসডি-র নেতৃত্বে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। তদন্তে আগামীর রণকৌশল ঠিক করতেই এই বৈঠক করা হয় বলে পুলিশ সূত্রে খবর। বৈঠকে রয়েচেন ডিসি এসএসডি সহ এসি ব়্য়াঙ্কের আধিকারিকরা। সেইসঙ্গে আইও, ওসি হোমিসাইডে সহ একাধিক তদন্তকারী অফিসারেরাও উপস্থিত ছিলেন।