কলকাতা: চাকরি গেল প্রাক্তন তৃণমূলের (TMC) পঞ্চায়েত সদস্য পূর্ণিমা নন্দীর। হাইকোর্টের (High Court) নির্দেশে স্কুলে গ্রুপ ডি (SSC Grup D) পদে কর্মরত ১,৯১১ জনের চাকরি গিয়েছে। তবে শুধু পূর্ণিমার নামই নয়, সেই তালিকায় রয়েছে বাঁকুড়ায় একাধিক তৃণমূল নেতা-নেত্রী ও তাঁদের পরিবারের লোকজনের নামও।
ওএমআর শিট বিকৃতি মামালায় হাইকোর্টের নির্দেশে দিয়েছিল ১,৯১১ জন গ্রুপ ডি (Grup D) চাকরি প্রার্থী হিসেবে গণ্য হবে না।এতদিন ধরে তাঁরা যে বেতন পেয়েছেন সেটাও সরকারকে ফেরত দিতে হবে। ধাপে ধাপে সেই টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট।পাশাপাশি ওই প্রার্থীরা দেশে সরকারি কোনও চাকরির পরীক্ষায় বসতে পারবেন না বলে জানিয়েছে আদালত।
চাকরি যাওয়াদের তালিকায় ওন্দা ব্লকের তৃণমূল নেতা লক্ষীকান্ত নন্দীর স্ত্রী পূর্ণিমা নন্দীর নাম রয়েছে ১৫৪০ নম্বরে। পূর্ণিমা নন্দী ওন্দার ভুলনপুর হাইস্কুলে গ্রুপ ডি কর্মী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন। পূর্ণিমা নন্দী ওন্দা ব্লকের মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ছিলেন। তাঁর স্বামী লক্ষীকান্ত দে বর্তমানে ওন্দা ব্লকের তৃণমূল নেতা।
আরও পড়ুন: Railways Notice Bajarangbali : জমি দখল করে রেখেছেন বজরংবলি, নোটিস দিয়ে খালি করার নির্দেশ রেলের
বিরোধী দলের দাবি, পূর্ণিমা নন্দী শাসক দলের প্রভাব খাটিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন। অভিযোগ রয়েছে, তৃণমূল নেতাদের টাকা দিয়েই তিনি ওই চাকরি পেয়েছিলেন । এরকমভাবে আরও অনেকের চাকরি হয়েছে তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের হাত ধরে।
পূর্ণিমা নন্দী যদিও এসব অভিযোগ অস্বীকার করে দাবি করেছেন, তিনি পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছিলেন। দলীয় প্রভাব খাটানোর কোনও বিষয় এখানে নেই। প্রভাব খাটিয়ে গ্রুপ ডি চাকরি হয় না।
পূর্ণিমা নন্দী আরও জানান, এভাবে চাকরি যাওয়াতে তিনি ও তাঁর পরিবার ভেঙে পড়েছেন। তাঁদের জীবনে এখন অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।একই দাবি করেছেন পূর্নিমার স্বামী তৃণমূল নেতা লক্ষীকান্ত নন্দীও।