বসিরহাট: বসিরহাটের (Basirhat) মাওলানাবাদ দরবার শরিফে সোমবার দোয়া চাইলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। সোমবার ৪৮ দিন পূর্ণ করল অভিষেকের জনংযোগ যাত্রা। এদিন টাকি রোড, গোলাবাড়ি, বেলেঘাটা হয়ে বেড়াচাঁপা, হাড়োয়ায় নবজোয়ার কর্মসূচিতে ব্যাপক সাড়া পড়ে। দুপুর থেকেই রাস্তার দুধারে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছিলেন অভিষেককে দেখার জন্য।
অভিষেককে সংবর্ধনা জানান বসিরহাটের তৃণমূল সাংসদ নুসরত জাহান। হাজির ছিলেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু, খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ, হাজি নুরুল ইসলাম প্রমুখ। পরে তিনি মাজার শরিফ দর্শন করেন। অভিষেক কথা বলেন পীরজাদা নুরুল আমিন, মনিরুল আমিন, খোবাআমিনের সঙ্গে। বালারহাট দরবার শরিফের তরফে তাঁর হাতে মানপত্র তুলে দেওয়া হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য একটি শাড়ি দেওয়া হয়। গত ২৪ এপ্রিল কোচবিহার থেকে শুরু হয় অভিষেকের জনসংযোগ যাত্রা, যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছিল তৃণমূলের নবজোয়ার। কথা ছিল, ২৪ জুন পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচি। কিন্তু তা আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে। যাত্রা এখন প্রায় শেষের পথে।
রবিবার বনগাঁ, হাবরা, অশোকনগরের পর বারাসতের কাছারি ময়দানে তাঁবুতে রাত্রিবাস করেন অভিষেক। এদিন ঠাকুরনগরে মতুয়া সম্প্রদায়ের হরিচাঁদ ঠাকুর, গুরুচাঁদ ঠাকুরের মন্দিরে যান। মূল মন্দিরে তাঁর যাওয়া নিয়ে ঝামেলা হয়। কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের নেতৃত্বে বিজেপি মূল মন্দির দখল করে রাখে বলে অভিযোগ। তা নিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সংঘর্ষ হয়। বিজেপি এবং তৃণমূল কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। তার রেশ গড়ায় চাঁদপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালেও। সেখানেও দুই দলের কর্মীরা গোলমালে জড়ান। শান্তনুর অভিযোগ, রাজ্য পুলিশ এবং তৃণমূল সমর্থকরা তাঁর গায়েও হাত দিয়েছে। বিজেপির দুই বিধায়ক আক্রান্ত হন।