বীরভূম: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বীরভূম জেলায় কোর কমিটি গঠন করে জেলা ছাড়ার পরই শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল (TMC Inner Clash)ফের প্রকাশ্যে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার বালিজুরি অঞ্চলে। এই ঘটনার পরই রাজ্য রাজনীতিতে চর্চা শুরু হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূল কর্মী অভিজিৎ মণ্ডল তাঁর অঞ্চলের এলাকায় কাজের তদারকি করতে বালিজুরি গ্রাম পঞ্চায়েতে যান। অভিযোগ, বালিজুরি অঞ্চলের তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত মুখোপাধ্যায় ও তাঁর ছেলে অভিজিৎকে মারধর করেন। এই ঘটনায় দুবরাজপুর থানা ও দুবরাজপুর সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের দফতরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
যদিও এ বিষয়ে তৃণমূলের বালিজুরি অঞ্চলের কার্যকরী সভাপতি প্রশান্ত মুখোপাধ্যায়ের দাবি, যে অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে আনা হচ্ছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। তাঁকে মারধর করা হয়নি। কেন একজন কন্ডাক্টরের হয়ে পঞ্চায়েতে এসে দালালি করতে যায়। টাকা বকেয়া আছে সেটা পঞ্চায়েত ও কন্ডাক্টর বুঝবে। কেন অভিজিৎ মাথা ঘামাচ্ছেন। সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রী জেলা ছাড়ার পরই বীরভূমের দুবরাজপুরে শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দলের উত্তেজনার পরিবেশ।
আরও পড়ুন:SEBI & Adani Group: সেবির কমিটিতে আদানির বেয়াই, তাই কি শেয়ার ঘোটালা নিয়ে চুপ নিয়ন্ত্রক সংস্থা?
পঞ্চায়েত ভোট যত এগোচ্ছে, তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল তত চওড়া হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে প্রতিদিনই শাসকদলের কোন্দল সিরোনামে উঠে আসছে। দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সতর্ক করার পরও তা কমছে না। এর আগে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সতর্ক করে বলেছিলেন, কেউ যেন নিজেকে সব থেকে বড় না ভাবে। সকলকে নিয়ে চলার নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু সেই কথাও শোনার প্রয়োজন মনে করছে না দলের একাংশ। এখন দেখার বীরভূমের গোষ্টীকোন্দল কোন দিকে গড়ায়।