শান্তিনিকেতন: ফলক বিতর্কের মাঝে মুখ্যমন্ত্রীকে ফের পত্রাঘাত বিশ্বভারতীর উপাচার্যের। পাঁচ পাতার ওই দীর্ঘ চিঠিতে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অভিযোগ, বিশ্বভারতীকে নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠান এখন স্বার্থসিদ্ধির সোপান এবং পণ্যে রূপান্তরিত হয়েছে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে এ ধরণের আক্রমণ করতে পারেন কি না তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেরই অভিযোগ, উপাচার্য শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ইউনেস্কো বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ ঘোষণার পর বসানো ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না থাকায় যাঁরা সরব হয়েছিলেন, এই চিঠির মাধ্যমে উপাচার্য তাঁদেরই জবাব দিলেন বলে মনে করা হচ্ছে। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, বিশ্বভারতী এখন দুর্নীতি ও স্বার্থসিদ্ধির আখড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। তা ভাঙতে গিয়ে যাঁরা মৌচাকে ঢিল মেরেছেন তাঁদেরই ভুগতে হয়েছে। গুরুদেব রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পুত্র রথীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে চোখের জল ফেলে বিশ্ব ভারতীয় প্রথম উপাচার্যের পথ ছেড়ে বিদায় নিতে হয়েছে।
আরও পড়ুন: আমার নামে স্টেডিয়াম নেই, মোদিকে বিঁধলেন মমতা
চিঠিতে উপাচার্যের আরও অভিযোগ, বিশ্বভারতীর এখন অনেক পরিবর্তন হচ্ছে এর মাধ্যমে যাঁরা ফায়দা তোলেন তাঁরা ভীত হয়ে পড়েছেন। প্রদীপ নিভে যাওয়ার আগে যেমন দপ করে জ্বলে ওঠে, এঁরাও সেই ভাবে শেষ কামড় দিচ্ছেন। উপাচার্য লিখেছেন, ফলক বিতর্ককে ঘিরে বিশ্বভারতীতে যাঁরা অশান্তির সৃষ্টির ব্যর্থ প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন, তাঁরা তাঁদের অজ্ঞতাই প্রকাশ করছেন। নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তাঁরা ঘোলা জলে মাছ ধরার চেষ্টা চালাচ্ছেন।
এর আগেও উপাচার্য মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় চিঠি লিখে আক্রমণ করেন। রাজ্য মন্ত্রিসভার দু’এক জন সদস্য এবং শাসকদলের কতিপয় নেতা যে দুর্নীতির অভিযোগে জেল খাটছেন, মুখ্যমন্ত্রীকে তাও স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন উপাচার্য ওই চিঠিতে। দু’দিন আগেই বিশ্বভারতীর জনসংযোগ আধিকারিক মহুয়া বন্দ্যোপাধ্যায়ের সই করা এক বিবৃতে ফলক বিতর্কে জড়িয়ে পড়া সমালোচকদের বিদ্ধ করা হয়েছে।
দেখুন আরও খবর: