খেমাশুলির পর কুরমি সমাজের আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ল ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি এলাকায়। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ঝাড়গ্রামের লোধাশুলি এলাকায় ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশাপাশি ৫ নম্বর রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেছে আদিবাসী জনজাতি কুরমি সমাজের প্রতিনিধিরা। যার ফলে লোধাশুলির সঙ্গে ঝাড়গ্রামের যোগাযোগ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সমস্যায় পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ।
ওই রাস্তা দিয়ে বাইক চালাতেও দিচ্ছে না অবরোধকারীরা। যার ফলে বিভিন্ন অফিসে আসা সরকারি কর্মচারীও সমস্যায় পড়েছেন। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ-অবরোধের তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার খেমাশুলিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন মুণ্ডার কুশপুত্তলিকা দাহ করে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়লেন আদিবাসী জনজাতি কুরমি সমাজের সদস্যরা।
আরও পড়ুন: Jharkhand CRPF: ঝাড়খণ্ডের মাওবাদী ডেরা নিকেশ, দাবি সিআরপিএফের
বলা যেতে পারে, ১৪ বছর আগে আন্দোলনে যেভাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল জঙ্গলমহল, সেই প্রতিচ্ছবি যেন আবার ফিরে এল ঝাড়গ্রামে। পুজোর আগে এই অবরোধ কর্মসূচিতে নাজেহাল হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এই আন্দোলনের বিষয়ে নির্বিকার রয়েছে প্রশাসন।
কুরমি জাতিকে তফসিলি উপজাতি তালিকাভুক্ত করার দাবি সহ কুরমালি ভাষাকে সংবিধানের অষ্টম তফসিলে তালিকাভুক্ত ও অবিলম্বে সারনা ধর্মের কোড চালু করার দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য রেল অবরোধে বসেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আদ্রা-চান্ডিল শাখার কুস্তাউর স্টেশনে ও নিমডিহি স্টেশনে অবরোধ শুরু করে আন্দোলনকারীরা। এর জেরে সমস্যায় পড়েছেন রেলযাত্রীরা।