রবিবার কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো।দু’বছর ধরে করোনার দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে আমবাঙালি মেতে উঠবে ধনদৌলতের দেবী লক্ষ্মী আরাধনায়। বাজার অগ্নিমূল্য হলেও বাঙালি সাধ্যমতো লক্ষ্মীরআরাধনায় ব্রতী হবে। ঘরে ঘরে বেজে উঠবে শঙ্খ এবং উলুধ্বনি।
প্রত্যেক বছর শারদ পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরীলক্ষ্মীপুজো করা হয়। আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের এই শেষ পূর্ণিমাকে আশ্বিন পূর্ণিমাওবলা হয়। এ বছর আশ্বিন মাসের শেষ পূর্ণিমা তিথি পড়েছে রবিবার ৯ অক্টোবর। পূরাণ মতেযখন সমুদ্র মন্থন করা হয় তখন এই শারদ পূ্র্ণিমা তিথিতেই দেবী লক্ষ্মীর আর্বিভাব ঘটে। তাই শারদ পূর্ণিমার এই তিথি লক্ষ্মীর আরাধনার জন্য খুবই মঙ্গলজনক বলে মানাহয়।
শারদ পূর্ণিমার দিনক্ষণ-
পূর্ণিমা তিথি শুরু-৯ অক্টোবর ভোর রাত ৩টে ৪১মিনিট থেকে
পূর্ণিমা তিথি শেষ- ১০অক্টোবর মাঝ রাতে ২টো ২৫ মিনিট পর্যন্ত
পূর্ণিমার চাঁদ দেখা যাবে ৯ অক্টোবর ৫টা ৫৮ মিনিটে নাগাদ। কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর সময় এ বছর কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর মাহেন্দ্রক্ষণ হল ৯ অক্টোবর রাত ১১টা ৫০ মিনিট থেকে সাড়ে বারোটো পর্যন্ত।
কেন বলা হয় কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো
সংস্কৃত ‘কঃজাগর’ শব্দবন্ধ থেকে এসেছে ‘কোজাগরী’ শব্দটি। ক: মানে কে আর জাগরমানে জেগে আছে। বাংলা সহ পূর্ব ভারতের অসম ও ওডিশায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে কোজাগরীলক্ষ্মীপুজো করা হয়।
কেন রাত জেগে পুজো করা হয়
প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে এ দিন পূর্ণিমার রাতে দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে নেমে আসেন। রাত জেগে যে সব ভক্ত লক্ষ্মী আরাধনা করেন, দেবীরআশির্বাদে তাদের জীবন ধন ,ঐশ্বর্য ও প্রতিপত্তিতে ভরে ওঠে। এই বিশ্বাসের কারণে এদিন গৃহস্থের ঘরের বাইরে লক্ষ্মীর পায়ের আকারে বিশেষ আলপনা দেওয়া হয়। মনে করা হয়, দেবী এই পথ দিয়েই বাড়ির অন্দরে প্রবেশ করেন।