শুক্রবারের পর সোমবার। কাঁথি থানায় হাজিরা দিলেন শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী। কাঁথির পুরপ্রধান থাকাকালীন একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে। গত শুক্রবার তাঁকে টানা ১০ ঘণ্টা জেরা করে কাঁথি থানার পুলিশ। ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদের ঠেলা সামলে ওঠার আগেই ফের হাজিরা দিতে হল রাজ্যের বিরোধী দলনেতার ভাইকে। সোমবার সকাল ১০টা ১০-এ কাঁথি থানায় পৌঁছলেন তিনি। সৌমেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ একটি নয়, তালিকা বেশ দীর্ঘ। পুরপ্রধান থাকাকালীন কোটি কোটি টাকা দিয়ে রাস্তায় আলোকস্তম্ভ বসানো, পুরসভা পরিচালিত রাঙামাটি শ্মশানে স্টল বসানো, সারদা কাণ্ডে লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি, ত্রিপল চুরি নানাবিধ দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে কাঁথি থানায় মামলা করা হয়েছিল।
তবে আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সৌমেন্দুকে গ্রেফতার করা যাবে না। হাইকোর্টের নির্দেশে রক্ষাকবচ পেয়েছেন তিনি। তবে পুলিশ তদন্ত করতে পারবে এবং সৌমেন্দুকে তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। তবে শুক্রবার ১০ ঘণ্টা জেরার পর থানা থেকে বেরিয়ে সৌমেন্দু বলেছিলেন, তাঁকে স্রেফ বসিয়ে রাখা হয়েছিল।
বিরোধী দলনেতার ভাইকে জেরা করা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক তরজার সৃষ্টি হয়েছে। শুভেন্দু অধিকারী রীতিমতো জোর গলায় বলেছিলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুই করতে পারবেন না। সুদে-আসলে মিটিয়ে দেব ওঁকে। সৌমেন্দুর পাশে আছে বিজেপি, সেকথাও জানাতে ভোলেননি। উল্লেখযোগ্য, তৃণমূলে থাকাকালীন কাঁথির পুরপ্রধান ছিলেন সৌমেন্দু। ২০২০ শুভেন্দু অধিকারীর বিজেপি যোগের পরেই সৌমেন্দুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। সূত্রের খবর, সারদা সংস্থাকে জমি দেওয়া সংক্রান্ত দুর্নীতি নিয়ে আজ জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে তাঁকে।