ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট হবে ২১ নভেম্বরেই। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে ফের একথা জানান হয়েছে। অবশ্য একইসঙ্গে শান্তি বজায় রাখতে পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারকে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর আগেই ঝালদা পুরসভার (Jhaldah Municipality) আস্থা ভোটে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। আর তার জেরে গত সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে ঝালদা পুরসভার আস্থা ভোট হচ্ছে না বলে নির্দেশ দেওয়া হয়। ওইদিনই আস্থা ভোট গ্রহণের কথা ছিল। আদালত জানায়, পরিবর্তে ২১ নভেম্বর হবে আস্থা ভোট। তিন কংগ্রেস কাউন্সিলরের ৪ নভেম্বরের জারি করা নোটিসও গত সোমবার খারিজ করে দেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা।
আর বিরোধী কাউন্সিলরদের জারি করা নোটিস খারিজের আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ঝালদা পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকার। সেই মামলায় ওই নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। ভাইস চেয়ারম্যানের দাবি ছিল, ১৩ অক্টোবর চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন বিরোধীরা। নিয়ম অনুযায়ী, ১৫ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হত চেয়ারম্যানকে। কিন্তু তিনি তা না করায় ২৮ অক্টোবর ভাইস চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকারের কাছে তলবি সভা ডাকার আবেদন জানান বিরোধী কাউন্সিলররা। আইন অনুযায়ী, ৭ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ করতে হয় ভাইস চেয়ারম্যানকে ( Vice-chairman)। সেজন্য ৩ নভেম্বর ভাইস চেয়ারম্যান সুদীপ কর্মকার জানান, আস্থা ভোট হবে ২১ নভেম্বর।
গত পুরসভা ভোটে ঝালদায় তৃণমূলের (AITC)পাঁচ, কংগ্রেসের পাঁচ এবং নির্দল হিসেবে দুজন জয়ী হন। তারপরেই খুন হয়ে যান কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু (Tapan Kandu)। পরে দুই নির্দল কাউন্সিলরের সমর্থন নিয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। তপনের শূন্য আসনে উপনির্বাচনে আবার কংগ্রেস জেতে। তাদের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়ায় পাঁচ।
সম্প্রতি নির্দল কাউন্সিলররা তৃণমূল থেকে কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকেছেন। এই দাবি তুলে অনাস্থা প্রস্তাব এনে চেয়ারম্যানকে (Chairman)চিঠি দেয় কংগ্রেস। তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান। তারপরেই কংগ্রেসের তরফে উপ-পুরপ্রধানকে চিঠি দেওয়া হয়। অবশেষে সোমবার আদালত জানিয়ে দিল ভোট হবে ২১ নভেম্বর অর্থাৎ পরের সোমবার।