গরু পাচার মামলায় জেলে থাকলেও আপাতত তৃণমূলের বীরভূম জেলার সভাপতি থাকছেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে নতুন কারোকে দায়িত্ব নয়। দলীয় সংগঠনের কথা মাথায় রেখে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে চলতে হবে। শুক্রবার দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে এমনই বার্তা দেওয়া হল তৃণমূলের বীরভূম জেলা নেতৃত্বকে। ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) দফতরে বীরভূম জেলার দলীয় বিধায়ক-নেতাদের নিয়ে ওই বৈঠকে সুব্রত বক্সীও (Subrata Bakshi) উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে বেশ কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হয়। জানিয়ে দেওয়া হয়, স্বচ্ছভাবে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) করতে হবে। বেশ কতগুলি ব্লকে বিশেষ নজর দেওয়ার প্রয়োজন আছে। বিকাশ রায়চৌধুরী, আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়, চন্দ্রনাথ সিনহা, ভিজিত সিনহা জেলায় দলের সাংগঠনিক কাজকর্ম দেখবেন। ভোট শান্তিপূর্ণ করতে হবে। কোনও অশান্তি হবে না। ব্লক স্তরের সংগঠনে একাধিক রদবদল করা হয়েছে। কিন্তু যারা পুরনো কর্মী ছিলেন তারা বেশি করে সময় দিন। পঞ্চায়েত ভোটে যেন কোনও অশান্তি না হয়।
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়-এর সঙ্গে ওই বৈঠকের পর বাইরে এসে রামপুরহাটের বিধায়ক আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, সামনে নির্বাচন (Election) রয়েছে। সেই বিষয়েই আলোচনা হয়েছে। সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা জানালেও অনুব্রত মণ্ডল প্রসঙ্গে মুখ খোলেননি তিনি। এদিনই আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দিতে এসে বীরভূম থেকে আসা দলের নেতাদের অনুব্রত বার্তা দেন, সকলে মিলে ভোট যুদ্ধ পার করতে হবে। পরে বীরভূমের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, “আমাদের অনুব্রত বাবু সকলকে নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন।”
এদিকে শুক্রবার আসানসোলে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে তোলা হয় গরু পাচার মামলায় ধৃত বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতিকে। কিন্তু এদিন অনুব্রতর আইনজীবী জামিনের জন্য আদালতে আবেদন করেননি। আগামী ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাঁর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ইতিমধ্যেই কেষ্টকে দিল্লি নিয়ে গিয়ে জেরা করার আবেদন জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। আর সেই মামলার পরবর্তী শুনানি যেদিন সেই ১ ডিসেম্বর অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যাকে দিল্লিতে জেরার জন্য ডেকে পাঠিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকরিকরা।