নওদা: বৃহস্পতিবার নওদায় তৃণমূল নেতা খুনের ঘটনাস্থলের কাছেই একটি ড্রামের মধ্যে ব্যাগ মিলেছিল। পুলিশ অনুমান করেছিল ব্যাগে বোমা রয়েছে। শুক্রবার সেই ব্যাগ থেকেই মিলল ৪টি তাজা বোমা। এদিন সেই বোমা নিষ্ক্রিয় করল বোম স্কোয়াড। পুলিশের অমুমান, নদিয়ার তৃণমূল নেতা খুনের সময় বোমা ছোড়ার পর অবশিষ্ট বোমা ফেলে পালিয়েছে দুষ্কৃতীরা। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নওদা থানার পুলিশ। অন্যদিকে এদিন দুপুরে হরিহরপাড়া থানার ধরমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শঙ্করপুর মাঠপাড়ার একটি মাঠের মধ্যে ব্যাগ দেখে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে ওই ব্যাগের মধ্যে বোমা দেখতে পায়।
গতকাল দুপুরে নওদার টিয়াকাটা ফেরিঘাট এলাকায় একটি জমির মধ্যে একটি পড়ে থাকা ব্যাগে বোমা রয়েছে বলে সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নওদা থানার পুলিশ। সেই ব্যাগ গোটা রাত পাহারা দেয় পুলিশ। শুক্রবার ওই ব্যাগ পরীক্ষা করে চারটি তাজা বোমা উদ্ধার করল নওদা থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার নওদা থেকে নদিয়া যাওয়ার পথে দুষ্কৃতীদের গুলিতে নিহত হন তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলাম। ঘটনার সময় গুলি চালানোর পাশাপাশি বোমাও ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। ফলে এলাকাবাসীর ধারণা ওই খুনের পরে দুষ্কৃতীরা বোমা মাঠে ফেলে পালিয়েছে। এরপরই মতিরুলের পরিবারের তরফে নওদা তৃণমূল ব্লক সভাপতি শফিউর জামান ওরফে হাবিব মাস্টারের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। একইসঙ্গে শাসকদলের বেশ কয়েকজন নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে পরিবার।
আরও পড়ুন:Rishi Sunak: বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক, প্রতিরোধের ডাক
বুধবার নদিয়ায় তৃণমূল নেতা মতিরুল ইসলামের খুনের ঘটনায় পুলিশের তদন্তে গাফিলতির অভিযোগ করে পরিবার। পুলিশ প্রয়োজনীয় তদন্ত করছে না বলে অভিযোগ তোলেন মতিরুলের স্ত্রী। বুধবার বিধানসভায় পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গেও দেখা করেন মতিরুলের স্ত্রী রীণা খাতুন বিশ্বাস। মতিরুলের স্ত্রী রীণা খাতুন বিশ্বাস নারায়ণপুর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। তিনি জানান, খালেক কবিরাজ ওরফে রাজকুমার, পিঙ্কু মণ্ডল, হাবিব শেখদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ রয়েছে। তাঁরা এই খুনের ঘটনায় জড়িত আছে। ঘটনায় সাংসদ মহুয়া মৈত্রের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তিনি।