কলকাতা: আজ, রবিবার এখনও পর্যন্ত মরসুমের শীতলতম দিন কলকাতায়। সকালে তাপমাত্রা কলকাতায় ছিল 15.9 ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে কলকাতায় তাপমাত্রা ছিল 16.2 ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের আমেজ ফিরলেও আপাতত জাঁকিয়ে শীতের কোনও সম্ভাবনা নেই। জেলায় জেলায় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের কাছে। সকালে ও সন্ধ্যায় শীতভাব ফিরছে। আজ কলকাতায় মূলত পরিষ্কার আকাশ। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিক। বেলা বাড়তেই শীত ভাব উধাও। আবার সন্ধ্যা ও রাতে হালকা শীতের আমেজ। বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই আগামী চার-পাঁচ দিনে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। তিন দিন পর শনিবারই শহরের তাপমাত্রা ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে পৌঁছেছিল। জেলাগুলিতে পারদ ক্রমশ নিম্নমুখী। অনেকেই অপেক্ষা করে আছেন কবে জাঁকিয়ে শীত (Cold) পড়বে সেই দিকে?
কলকাতা শহরে এদিন সেভাবে কুয়াশা ছিল না। সকাল থেকেই রোদের দেখা মিলেছে। কনকনে শীত এখনও পড়েনি। ফলে এই ঠাণ্ডা উপভোগ্য বলছেন কলকাতাবাসী। এদিন ছুটির দিনে তাই সকাল থেকে বাস, ছোট গাড়ি চিড়িয়াখানা, ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল, ইকোপার্কমুখী। মানুষ পিকনিকের মুডে। তবে অন্যান্য দিনের মতো এদিনও খান্নার হাটে ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। যার জেরে প্রবল যানজট দেখা যায়। তবে শুধু খুচরো ক্রেতা নয়। এদিন ব্যক্তিগত কেনাকাটার জন্য অনেককে হাটে ভিড় করতে দেখা গিয়েছে। পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও জিনিস কেনাকাটা করতে সকাল থেকেই সেখানে হাজির।
আরও পড়ুন: Weekly Horoscope: মিথুন রাশির জাতকদের জন্য কেমন হবে নতুন সপ্তাহ
আলিপুর আবহাওয়া অফিস (Alipur Weather Office) পূর্বাভাস দিয়েছে, আগামী সপ্তাহের শেষের দিক থেকে ঠাণ্ডা আরও বাড়ার সম্ভাবনা। তাপমাত্রা আরও নীচে নামবে। সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যবাসী (Westbengal)। এখন বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনাই নেই। তবে আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে। এই সময় শরীরের যত্ন নিতে হবে বলছেন ডাক্তাররা। কারণ, এই সময় সর্দি, কাশির সম্ভাবনা বাড়ে। শীতে মানিয়ে নিতে একটু সময় লাগে। বিশেষ করে বৃদ্ধ, বৃদ্ধা, শিশুদের প্রতি এই সময় বেশি নজর দিতে হবে।
বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপের সম্ভাবনা। তা রবিবার ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হবে দক্ষিণ আন্দামান সাগরে। ঘূর্ণাবর্ত সোমবারে নিম্নচাপে পরিণত হবে। দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং দক্ষিণ আন্দামান সাগর সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ ক্রমশ শক্তিশালী হবে। এরপরের দু তিন দিনে শক্তিশালী হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এই নিম্নচাপ। পশ্চিম ও উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে এর অভিমুখ হবে তামিলনাড়ু ও পন্ডিচেরি উপকূল। বৃহস্পতি ও শুক্রবারের মধ্যে এটি উপকূলের কাছাকাছি পৌঁছতে পারে বলে অনুমান আবহাওয়াবিদদের। দক্ষিণ ভারত অভিমুখী হওয়ায় সরাসরি এর কোনও প্রভাব পড়বে না বাংলায।