কলকাতা: পঞ্চায়েত ভোটের আগে উঠোন বৈঠকের ডাক দিল সিপিএম। গ্রামের প্রতিটা মহল্লায় উঠোন বৈঠক করতে হবে। আন্দোলন রাস্তা ছাড়িয়ে গ্রামের আলপথ দিয়ে যাবে। পার্টির কাজে সুযোগ দেওয়া হবে নতুন প্রজন্মকে। তাঁদের আরও বেশি করে দলের কাজে নিয়োজিত করা হবে। বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠকে এমনই জানালেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। একইসঙ্গে আগামী জানুয়ারি পর্যন্ত বেকারত্ব সমস্যা ও মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতে রাজ্যে লাগাতার কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি সিপিএমের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ভালোই ভিড় হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহলের দাবি। সেই ঘটনায় উদ্বুদ্ধ সিপিএম। কারণ, ২০১১ সালের পর থেকে ক্রমশ শক্তি হারিয়েছে এই রাজ্যে ৩৪ বছর সরকার চালানো রেজিমেন্টেড এই পার্টি। গত বিধানসভায় একটি আসনও জিততে পারেনি তারা। তাই এবার কর্মসূচিতে জনসমাগম দেখে পঞ্চায়েত ভোটের আগে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তারা। তাই এদিন সেলিম তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেছেন, গ্রামের মানুষই পারবেন।
আরও পড়ুন: Chingrighata Accident: চিংড়িঘাটায় ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় জখম আট
এদিন আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানিয়েছে সিপিএম। দলের কোনও সদস্যের বিরুদ্ধে মহিলা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ উঠলে তা খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি তৈরি করা হয়েছে। ওই কমিটিতে রয়েছেন অঞ্জু কর, শ্যামলী প্রধান এবং সুমিত দে। বৃহস্পতিবারই দলের রাজ্য কমিটির বৈঠক শুরু হয়েছে। রাজ্য কমিটিতে তিন জনকে আমন্ত্রিত সদস্য করা হয়েছে। ওই তিন জন হলেন জাহানারা খান, সোমনাথ সিংহরায়, ইন্দ্রজিত ঘোষ।
তাছাড়া এদিনও সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি সিপিএমের গটআপের অভিযোগ তুলে এক সারিতে বিঁধেছেন মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেন, আরএসএস বলেছিল মমতাকে কাজে লাগিয়ে কমিউনিস্ট রুখতে। এখানকার বিজেপি নকল বিজেপি। দিল্লির বিজেপি আসল বিজেপি। আসল বিজেপির সঙ্গে তৃণমূলের কোনও ঝগড়া নেই। নকল বিজেপি এখানে সাজানো হয়েছে। টিভি শো করার জন্য করা হয়েছে। রাজ্যে বিভিন্ন জায়গায় বোমা, বন্দুকের ঘটনার বিষয়ে তিনি বলেন, সিপিএম বন্দুকের রাজনীতি করে না।