সাগর: গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে আজ, বুধবার সাগরে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলার প্রস্তুতি প্রায় সম্পূর্ণ। এর আগে মেলার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীরা একাধিকবার মেলার প্রস্তুতির কাজ ঘুরে দেখে গিয়েছেন। জেলা প্রশাসনও মেলার কাজে যুক্ত সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। আজ মুখ্যমন্ত্রী প্রথমে গঙ্গাসাগর মেলার যাবতীয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখবেন। তারপরে কপিল মুনি মন্দিরে পুজো দেবেন। এছাড়া, গঙ্গাসাগরে ডুমুরজলা স্টেডিয়ামের আদলে তৈরি নতুন হেলিপ্যাড ময়দানের উদ্বোধন করবেন বলে সূত্রে খবর।
এছাড়াও প্রশাসনের আধিকারিক ও বিভিন্ন দফতরের মন্ত্রীদের নিয়ে বৈঠক করবেন বলে খবর। ১৪ জানুয়ারি সাগরদ্বীপে পৌষ সংক্রান্তিতে পুণ্যস্নান সারবেন তীর্থযাত্রীরা। এবার কুম্ভমেলা না থাকায় গঙ্গাসাগরে রেকর্ডসংখ্যক ভিড় হবে বলে অনুমান রাজ্য ও জেলা প্রশাসনের। জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা জানান, এবারের মেলায় প্রায় ৩০ লক্ষ পুণ্যার্থীর সমাগম হবে। জেলা প্রশাসনও ভিড় সামলাতে প্রস্তুত।
আরও পড়ুন: Chakka Bandh: ভারত জাকাতের চাক্কা জ্যাম শুরু, বেশ কিছু জায়গায় পথ অবরোধে ব্যাহত যান চলাচল
মমতার আসার খবরে সাগরকে পুরোপুরি নতুন রঙে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় তৈরি করা হয়েছে তোরণ। নতুন পিচের প্রলেপ পড়েছে বহু জায়গাতেই। মেলা প্রাঙ্গণে এখন বাঁশের খাঁচা গড়ে তোলার কাজ চলছে। হোগলা পাতার তাঁবু গড়ে তোলা হবে পুণ্যার্থীদের জন্য। পৌষ সংক্রান্তির (Poush Sankranti) মাহেন্দ্রক্ষণে কয়েক লক্ষ পুণ্য সঞ্চয়ের আশায় ডুব দেবেন সাগর তীরে।
গঙ্গাসাগরের অন্যতম আকর্ষণ কপিল মুনির আশ্রমেও পড়েছে রঙের নতুন পোচ। সাগরতীরে যাওয়ার পথে পথে দুধারে বাঁশের ব্যারিকেড বসানোর কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। মুখ্যমন্ত্রীর জন্য হেলিপ্যাড রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শেষ। দমকলের গাড়ি এনে মাঠ ও বাগানে জল দেওয়ার কাজ চলছে দুবেলা। এছাড়াও প্রশাসনিক আধিকারিকরা মেলা চলাকালীন যাতে কোনও বিঘ্ন না ঘটে, তার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখছেন সবদিকে।