খড়্গপুর: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) পরিস্থিতি নিয়ে শাসকদলকে প্রায় শূলে চড়ালেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। বুধবার সকালে খড়্গপুরে হাইকোর্টের ঘটনা সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বলেন, এখানকার সব কিছুই কন্ট্রোল করতে চাইছে তৃণমূল (TMC)। পুলিশ, প্রশাসন, সরকারি কর্মচারী, এরা তাদের পকেটেই চলে গিয়েছে। পুলিশ পার্টির কাজ ছাড়া কোনও কিছু করে না বলেই এত অসামাজিক কাজ হচ্ছে খুন-ধর্ষণ নানান অসামাজিক কাজ হচ্ছে। পাড়ায় পাড়ায় অস্ত্র-বোমা ধরা পড়ছে। এখন তো অন্য দেশ থেকে এসে জঙ্গিরা রোজ জেলায় জেলায় ধরা পড়ছে।অভিযোগের সুরে দিলীপ বলেন, মাদ্রাসা থেকে জঙ্গি পাওয়া যাচ্ছে।
এখন একমাত্র আশা ছিল বিচার ব্যবস্থা। কয়েকজন বিচারক সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়ে শিরদাঁড়া সোজা রেখেছেন। মানুষ তাঁদের আজ হিরো মনে করছে। রাজনৈতিক দলের থেকে তাঁদের এখন বেশি পপুলারিটি। তাঁদেরকে চমকানোর চেষ্টা চলছে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguli) ঘরের সামনে ধরনা দিয়েছে টিএমসির কোটপরা গুন্ডাগুলো। আর গতকাল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থাকে (Justice Rajasekhar Mantha) চমকানো হয়েছে, তাঁর গাড়ি ঘেরাও হচ্ছে, তাঁকে আক্রমণের চেষ্টা করা হয়েছে। ভয় দেখানো হচ্ছে, যাতে তিনি তাদের কথা শোনেন। তাঁরা টাকায় বিক্রি হচ্ছেন না, হয়তো সেটিং করছেন না, সারা দেশের কাছে বিচার ব্যবস্থার পক্ষে কালকে কালো দিন গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) চিন্তা করার কথা, এই হুলিগানদের নিয়ে রাজনীতি করবেন, নাকি দেশের গণতন্ত্রের প্রতি আস্থা রাখবেন।
আরও পড়ুন: Weather: সামান্য পারদ পতন,তবে বজায় থাকছে শীতের আমেজ, কী বলছে হাওয়া অফিস, জেনে নিন
দিলীপ আরও বলেন, এখানকার রাজ্যপালকে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিয়ে সুরক্ষা দিতে হচ্ছে। চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে কোর্ট, বিচারব্যবস্থা (Judiciary) সবকিছুকেই সুরক্ষিত করা উচিত। এখানে সরকার কোনও অন্যায়ের বিচার করে না। তাই বাধ্য হয়ে মানুষ কোর্টে যাচ্ছেন। আর সেই আদালতকেই চমকানো হয়, বিচারপতিকে চমকানো হয়। তাহলে ভারতের গণতন্ত্র হাস্যাস্পদ হয়ে যাবে, কোনও গুরুত্ব থাকবে না। দরকার হলে সুরক্ষাব্যবস্থা করা উচিত, কোর্ট, এজলাস সবকিছু কেন্দ্রীয় বাহিনীর সুরক্ষা দেওয়া উচিত।
মঙ্গলবার গঙ্গারতির অনুমতি না দেওয়া প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, এখানকার পুলিশ কোনও শিল্পী-সাহিত্যিককে কথা বলতে দেবে না। ধার্মিক অনুষ্ঠান করতে দেবে না, সেগুলোকে কিনে নেবে। টাকা দিয়ে, না হলে অনুষ্ঠান করতে দেবে না। এখানে রাষ্ট্রবিরোধী গ্যাংস্টার যারা, তারা ঘুরে বেড়াবে। তাদের গায়ে হাত দেবে না। এটা বারবার আমরা দেখছি। বাংলার মানুষ খুবই চিন্তিত, হতাশ এসব দেখে। সুযোগ পেলে তাঁরা এর জবাব দেবেন।