উলুবেড়িয়া: উলুবেড়িয়া থানার উত্তর গঙ্গারামপুর চক্রবর্তী পাড়া, শী পাড়া সহ আশপাশের এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম চরমে। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের নির্দেশ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার। পাশাপাশি পুলিশ সুপারকে রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জানা গিয়েছে, চক্রবর্তী পাড়া, শী পাড়া সহ আশপাশের এলাকায় দুষ্কৃতী দৌরাত্ম চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। টিটকিরি, শ্লীলতাহানি, মারধর, খুনের চেষ্টার একের পর এক অভিযোগ রয়েছে একটি দুষ্কৃতী দলের বিরুদ্ধে। এই মামলার আবেদনকারীর আইনজীবী মৃত্যুঞ্জয় ব্যানার্জির দাবি, ২০১৬ সাল থেকে এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এক ডজন মামলা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি। এর আগে ২০১৬ সালের অভিযোগে কোর্টের নির্দেশের পরে পকসো ধারা যুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন: Setback for Uddhav Thackeray: শিবসেনা, তির-ধনুক শিন্ডেরই, বড় ধাক্কা উদ্ধব শিবিরের
বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আদালতে হাজির তদন্তকারি অফিসারকে বলেন, উলুবেড়িয়া থানার ভূমিকা দুঃখজনক। ২০১৬, ২০১৮, ২০২২ সালে অন্তত ১২ টি এরকম ধরনের অভিযোগ হয় এই দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এলাকায় সন্ত্রাস ছড়ানোয় গণস্বাক্ষর করে জমা দেওয়া হয় এদের বিরুদ্ধে। কেন ৩০৭ ধারা দেওয়া হয়নি? নিম্ন আদালতের কেন ৪১ এ নোটিস দেওয়া হয়েছে? এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে পকসো অভিযোগ আছে, সেটা জানিয়েছিলেন পিপি-কে? এর আগে এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে FIR হয়েছে, সেই গুলোর কি হয়েছে?
এররপরই আদালতের নির্দেশ, হাওড়া গ্রামীণের পুলিশ সুপার রিপোর্ট দিয়ে জানাবেন উলুবেড়িয়া থানা এই মামলা গুলিতে কী পদক্ষেপ করেছে। এখনই খুনের চেষ্টা ও শ্লীলতাহানির ধারা যোগ করবে পুলিশ। এখনই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে হবে পুলিশকে। অভিযুক্তরা জামিনের আবেদন করলেই পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে যাবতীয় চার্জশিট, গণস্বাক্ষর নথি নিম্ন আদালতে জমা দেবে। পাঁচ জন কনস্টেবল সহ বাহিনী সহ এলাকায় নজরদারির জন্য পিকেট করতে হবে। দু’সপ্তাহ পরে মামলার ফের শুনানি।