বারাসত: বাম আমলেও নিয়োগের ক্ষেত্রে বেনিয়ম হয়েছিল বলে বারবার দাবি করছে তৃণমূল (TMC)। বুধবার বাম (CPM) জমানার বেআইনি নিয়োগের (Illegal Recruitment) তথ্য সামনে আনল তৃণমূল। এদিন বারাসতে তৃণমূলের এক প্রতিবাদ সভায় ৭১ জনের একটি তালিকা প্রকাশ করেন তৃণমূল নেতারা। ওই সভায় উপস্থিত ছিলেন, বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Forest Minister Jyotipriya Mallik), দমদম বারাকপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা বিধায়ক তাপস রায়, দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক প্রমুখ। সভামঞ্চ থেকে তালিকার নামগুলি পড়ে শোনান তাপস রায়। এই তালিকা প্রকাশের পর স্বভাবতই চাকরি দুর্নীতি নিয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গেল সিপিএম এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
নিয়োগ দুর্নীতিতে দলের একাধিক হেভিওয়েট নেতা মন্ত্রী জেলবন্দি, এই অবস্থায় অস্বস্তি বেড়েছে তৃণমূলের। এবার সুকৌশলে সেই দুর্নীতির দায় রাজ্যের প্রাক্তন শাসকদলের সিপিএমের ঘাড়ে ঠেলতে উদ্যোগী বর্তমান শাসকদলের নেতারা। এদিনের প্রকাশ্যে এল দুর্নীতির তালিকা। তৃণমূলের প্রকাশ করা ওই তালিকায় রয়েছে বারাসতের প্রথম সারির বেশ কয়েকজন সিপিএম নেতার নাম, রয়েছে তাদের আত্মীয় স্বজনের নামও।
এদিন নাম প্রকাশ করে তাপস রায় বলেন, চাকরি দুর্নীতি নিয়ে সিপিএম সবথেকে বেশি সরব হয়েছে। চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া আমরা সমর্থন করিনা। কিন্তু সিপিএম যে চিরকুট দুর্নীতি করেছে এটাই তার প্রমাণ।
আরও পড়ুন:Aajke | তৃণমূল জমানায় নাটক না করে হনুমান পুজো করুন
বনমন্ত্রী বলেন চোরের মায়ের বড় গলা। এটা বারাসত পুরসভার মাত্র সাতটি ওয়ার্ডের তালিকা। আরও তালিকা প্রকাশ্যে আনা হবে। আমরা সব দুর্নীতি প্রকাশ্য আনব। এই তালিকায় শিক্ষক, বিডিও অফিস, সমবায় ব্যাঙ্ক সহ বিভিন্ন দপ্তরে চাকরি দেওয়া হয়েছে। অনেকে চাকরি করছে অনেকে অবসর নিয়েছেন। মনে রাখবেন আমরা এই সব তালিকা নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হলে তাদের মাসের পেনশন বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয় সব টাকা ফেরত দিতে হবে বলে দাবি করেন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাইকোর্টের বিচারপতিদের উদ্দেশে আবেদন করেছিলেন কারও চাকরি না যায়। তিনি বলেছিলেন, বাম জমানার কারও চাকরি খাইনি। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পর বামেরা পালটা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে দাবি করেছিলেন বাম জমানার কারও চাকরি দুর্নীতিতে হয়নি। দুর্নীতি হলে সেই চাকরি বাতিল করে দেখাক বর্তমান সরকার। বামেদের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, বাম জমানার ‘চিরকুট সুপারিশ নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করা হবে। তবে এদিন পর্যন্ত সেই শ্বেতপত্র প্রকাশ হয়নি। উত্তর ২৪ পরগনার সিপিএম নেতারা অবশ্য তৃণমূলের ওই তালিকাকে গুরুত্ব দিতে নারাজ।