শ্যামনগর: অটো রাখাকে কেন্দ্র করে বচসা। আর তার জেরে পুলিশকে ব্যাপক মারধর। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার শ্যামনগর স্টেশন চত্বরে। ওই এলাকায় রাস্তায় অটো পার্কিং নিষিদ্ধ। কিন্তু এদিন নিষেধাজ্ঞা উড়িয়ে অটো চালকেরা সেখানে গাড়ি রাখেন। কিন্তু সেখানে গাড়ি রাখতে মানা করেন কর্তব্যরত সিভিক ভলান্টিয়ার। তাতেই বাধে বচসা। ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে মারধর করেন অটো চালকেরা। তড়িঘড়ি সেখানে যান বাকি সিভিক ভলান্টিয়াররা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান জগদ্দল থানার এএসআই সমর চক্রবর্তীও। আরও তীব্রতর হয়ে ওঠে বচসা।
বাকি সিভিক ভলান্টিয়ার-সহ ওই পুলিশ আধিকারিককেও মারধর করা হয়। হাতাহাতিও হয় দু’পক্ষের মধ্যে। মাথা ফেটে যায় এক সিভিক ভলান্টিয়ারেরও। আহত পাঁচ সিভিক ভলান্টিয়ার ও এএসআই-কে গুরুতর আহত অবস্থায় ভাটপাড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এরপরই এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেখান থেকে এখনও পর্যন্ত সাতজন অটো চালককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: Scoop | Netflix India | Prosnejit Chatterjee | Hansal Mehta | হনসলের সিরিজে প্রসেনজিৎ
এই ঘটনায় আহত এক সিভিক ভলান্টিয়ার বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও শ্যামনগর স্টেশন রোডে অটো রাখছিলেন অটো চালকরা। তখনই বাধা দেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। কিন্তু তাঁকে ব্যাপক মারধর করেন প্রায় ৩০-৪০ জন অটো চালক। খবর পেয়ে অন্যান্য সিভিক ভলান্টিয়ার ও এএসআই ঘটনাস্থলে যান। কিন্তু সেই সমস্ত সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও মারধর করা হয়। বাঁশ-রড দিয়ে হামলা চালানো হয়। ছোড়া হয় পাথরও। এদিকে বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন আহত এএসআই। তিনি বলেন, অটো চালকদের ওপরে কে আছে তা জানা নেই। তারা কারওর কোনও কথা শোনে না। এমনকী, পুলিশের তরফে কিছু বলা হলে খুনের হুমকিও দেওয়া হয়।
