বহরমপুর: আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনের(Panchayat Vote) জন্য আজ, শুক্রবার থেকেই শুরু হয়ে গেল মনোনয়ন (Nomination) জমা দেওয়ার প্রক্রিয়া। শুক্রবার মনোনয়নের প্রথম দিন সামশেরগঞ্জ বিডিও অফিসে (BDO Office) পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তার বন্দোবস্ত করা হয়। সকাল থেকেই বিডিও অফিসের গেটে মোতায়েন করা হয়েছে পুলিশ। এদিকে সামশেরগঞ্জ বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করতে এলেও তা জমা করতে না পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে সিপিআইএম (CPIM) এবং কংগ্রেস (Congress) নেতৃবৃন্দ। বিডিও অফিসে প্রস্তুতি না থাকায় কার্যত মনোনয়নের জন্য দীর্ঘক্ষণ ধরেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন বাম ও কংগ্রেসের প্রার্থীরা। মনোনয়ন জমা নেওয়া শেষ হবে ১৫ জুন। ২০ জুন মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন।
বৃহস্পতিবারই পঞ্চায়েত ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা করেছেন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার (State Election Commsissioner) রাজীব সিনহা (Rajib Sinha)। এবার ৩৩১৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট আসন ৬৩ হাজার ২২৯টি। ৩৪১টি পঞ্চায়েত সমিতিতে মোট আসন ৯ হাজার ৭৩০টি। এছাড়া জেলা পরিষদে রয়েছে ৯২৮টি আসন। মোট ভোটারের সংখ্যা ৫ কোটি ৬৭ লক্ষ ২১ হাজার ২৩৪। ভোট গ্রহণ শুরু হবে সকাল ৭টা থেকে। চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। বিকেলে ওই সময় পর্যন্ত যাঁরা লাইনে থাকবেন, তাঁদের সকলকে ভোট দেওয়ানোর সুযোগ থাকবে। কমিশনার জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে আদর্শ আচরণবিধি চালু হয়ে গিয়েছে।
আরও পডুন :Lionel Messi | মেসিকে স্বাগত জানাতে সেজে উঠছে মায়ামি
২০১৮ সালে পঞ্চায়েত ভোট (Panchayet Election) হয়েছিল ১৪ মে। সেবার এক দফাতেই ভোট হয়েছিল। ওই বছর বহু জেলায় বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে দেয়নি শাসকদল, এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল। শুধু তাই নয়, বেশ কিছু জেলায় মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে বিরোধীদলের প্রার্থীদের বেধড়ক মারধরও খেতে হয়েছিল। এমনকী রেহাই পাননি মহিলা প্রার্থীরাও। ত্রিস্তর মিলিয়ে প্রায় ৩৪ শতাংশ আসনে শাসকদল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়। ভোটের দিন ব্যাপক হিংসার ঘটনা ঘটে।