কলকাতা: অবশেষে বাংলায় (West Bengal) প্রবেশ করেছে বর্ষা (Monsoon)। চড়া রোদ এবং ভ্যাপসা আর্দ্রতার (Humidity) হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে, তাই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিল বঙ্গবাসী। কিন্তু বর্ষা শুধু স্বস্তি নয়, সঙ্গী করে এনেছে বিপদও। ১২ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত ভয়ানক বজ্রপাতের (Lighting Strike) সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। সতর্কতা জারি হয়েছে অতি ভয়াবহ মুহুর্মুহু জীবননাশী ‘ক্লাউড টু গ্রাউন্ড’ বজ্রপাতের।
১২ থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত সময়সীমার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের বেশিরভাগ অঞ্চলে মাঝেমধ্যে বিপজ্জনক ভয়াবহ বজ্রপাতের সতর্কতা দেওয়া হল। মাঝেমধ্যে বিক্ষিপ্ত থেকে কোনও কোনও সময় প্রায় বিস্তৃত বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টি ও ঝড়বৃষ্টির পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে ভয়াবহ বজ্রপাত দেখা যাবে বলে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
কেন এত বজ্রপাত?
নিম্নচাপ অক্ষরেখা ও মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব দিক বা দক্ষিণ দিক থেকে আসা নিম্নস্তরের জলীয় বাষ্প পূর্ণ আর্দ্র বাতাসের সঙ্গে পশ্চিমি জেট বাতাসের সংঘর্ষের কারণে এই ধরনের ভয়াবহ রকম বজ্রবিদ্যুৎ দেখা যাবে। মুহুর্মুহু বজ্রপাত ঘটবে। এর পাশাপাশি নিম্নচাপ অক্ষরেখা ও স্থল ঘূর্ণাবর্তের প্রভাবে স্থলভাগের উপর গঠিত বজ্রগর্ভ মেঘ প্রচুর উচ্চতায় উঠে যাবে। যার জন্য যে সমস্ত অঞ্চলে বৃষ্টি হবে সেখানে মুড়ি মুড়কির মতো বজ্ৰপাত দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: Municipality Scam | CBI | পুর নিয়োগে সিবিআই তদন্ত, শুনানি শেষ, রায় স্থগিত
কোথায় কোথায় মারাত্মক বজ্রপাত?
বীরভূম, বর্ধমান, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, হুগলি, হাওড়া, কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, মালদা, দিনাজপুর, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার সহ সমগ্র পশ্চিমবঙ্গে। কলকাতা হাওড়া হুগলি ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলেও ভয়াবহ বজ্রপাতের সতর্কতা।
বজ্রপাত থেকে সতর্কতা:
১) বজ্রপাত চলাকালীন সময়ে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন।
২) বজ্রপাতের সময় খোলা মাঠে বা গাছের নীচে দাঁড়াবেন না।
৩) বজ্রপাতের আগে ইলেকট্রনিক মিডিয়া আনপ্লাগ করুন।
৪) বজ্রপাতের সময় জলে নামবেন না ও জলপথে ভ্রমণ এড়িয়ে চলুন।
৫) বজ্রপাতের সময় ধাতব জিনিসের সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকুন।