হ্যাঁ, সারা দেশে বিরোধীদের এক খাস্তা হালের মধ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু এক ব্যতিক্রমী লড়াই করে চলেছেন, আর সেই লড়াই কিন্তু আগামী দিনে বিজেপির বিরুদ্ধে এক সম্মিলিত লড়াইয়ের অনুপ্রেরণা হতে পারে। বিরোধীদের খাস্তা হাল বলছি কেন? কারণ যে মহারাষ্ট্র বিকাশ আগাড়ি, উদ্ধব ঠাকরে, শরদ পাওয়ার আর কংগ্রেস জোট ক’ মাস আগে মহারাষ্ট্রে সব্বাইকে অবাক করে ২৪-এর নির্বাচনে ৪৮টাতে ৩০টা আসন জিতে গেল, সবাই ভেবেছিল তারা বিধানসভাতে ২১০টার মতো আসন পাবে, তারা পেল ৫০টা আসন, ২৩৫টা আসন পেল বিজেপি জোট। একই ভাবে কংগ্রেস বিরাটভাবে হারল হরিয়ানাতে, আম আদমি পার্টি হারল দিল্লিতে। মাত্র ক’মাস আগে লোকসভার নির্বাচনের সময়ে আচমকাই থমকে যাওয়া বিজেপি আবার পূর্ণ উদ্যমে মাঠে নেমেছে, নিজেদের ভুলগুলোকে শুধরেছে, নিজেদের আরও অর্গানাইজ করেছে, আরএসএস-এর নেতৃত্ব মেনে নির্বাচনের কাজে মন দিয়েছে আর সেই কারণেই তারা ফল পেয়েছে। কিন্তু ঠিক এইখানেই তাহলে প্রশ্নটা ওঠে যে বিজেপি তার সংগঠন, তার প্রচার, তার অর্থবলের ফলেই যদি সব নির্বাচন জিতে যায়, তাহলে সে কোথাও কোথাও হারে কেন? হারে তার যথেষ্ট কারণ আছে আর সেই হারগুলোকে যদি খুব ভালো করে বিশ্লেষণ করা যায়, তাহলেই বেরিয়ে আসবে সেই পথ, সেই পদ্ধতি যা দিয়ে বিজেপিকে হারানো যায়, বা হারানো যাবে। এই কাজটা তৃণমূল খুব ধৈর্য ধরে করে যাচ্ছে। ২০২৬-এ নির্বাচন, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বহু আগে থেকেই একে একে বিজেপির প্রচারের প্রত্যেকটা এলিমেন্ট, প্রত্যেকটা বিষয়কে নিয়ে রাস্তায় নামছেন, সেই ইস্যুগুলোকে নিয়ে বিজেপি মাঠে নামার মতো জায়গাতেই থাকবে না। আসুন সেই প্রক্রিয়াটা একবার দেখে নিই।
এমনিতে বিজেপির দেশজুড়ে চারটে অস্ত্র আছে যা সমানভাবে তারা ব্যবহার করে, কিন্তু তারা নিজেরাও জানে যে সেই ইস্যুগুলো সব রাজ্যে সমান কার্যকরী নয়। আবার এই চারটে বিষয়ের বাইরে রাজ্যভিত্তিক কিছু ইস্যু আছে যা তারা সুযোগ বুঝে সামনে আনে। প্রথমে আসুন বিজেপির সেই চারটে অস্ত্রকে দেখে নিই যা তারা দেশ জুড়েই কাজে লাগায়। প্রথম হল হিন্দুত্ব, হিন্দুত্বের এক প্রবল চর্চা তারা নির্বাচন নয়, সারা বছর চালিয়ে যায়, আর ঠিক নির্বাচনের সময়ে তাকে ইস্যু করে তোলা হয়। মুসলমানদের প্রতি ঘৃণা, গোমাংস ভক্ষণ ইত্যাদির ইস্যু, নিরামিষ, আমিষ, আজান, মসজিদে মাইক, কুম্ভস্নান, রামমন্দির এই সব হল আদতে বিজেপির চরম সাম্প্রদায়িক রাজনীতির অস্ত্র যা তারা সারা দেশেই কাজে লাগায় কিন্তু এই অস্ত্র দারুণভাবে কাজ করে গো বলয়ে, কাজ করে না উত্তর পূর্বাঞ্চলে, খুব একটা কাজ করে না দ্রাবিড়ভূমিতে, দাক্ষিণাত্যে, আমাদের বাংলায় কাজ করে না বলব না কিন্তু সারা দেশের তুলনায় এই চরম হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে কথা বলার মতো মানুষজন এই বাংলাতেই সবথেকে বেশি, মানে এই অস্ত্র কাজ করে, আবার এই অস্ত্রের এক বিরাট বিরোধিতাও এখানে আছে। দু’ নম্বর অস্ত্র হল এক উচ্চকিত জঙ্গি জাতীয়তাবাদ। পাকিস্তান, চীন, আমরাই দেশ রক্ষা করব। দেশ রক্ষার সামনে অন্য কিছুই ইস্যু হতে পারে না। সিয়াচেন মে জওয়ান খড়ে হ্যায়, অতএব জিনিসের দাম বাড়বে, মানুষের কিছু সমস্যা হবে, সেসব কোনও ইস্যুই নয়, আসলে দেশ বিপন্ন বহির্শত্রুর হাতে, সেই লড়াইটা জরুরি। এই অস্ত্রও মূলত মধ্য ভারত, উত্তর ভারত আর পশ্চিম ভারতে দারুণ কার্যকরী, ২০১৯-এ পুলওয়ামার ঘটনার পরে এই অঞ্চলের ফলাফল দেখলেই সেটা বোঝা যাবে।
কিন্তু এই অস্ত্র দক্ষিণে বা উত্তর পূর্বাঞ্চলে কাজ করে না আর বাংলাতেও তেমন কার্যকরী নয়। তিন নম্বর মোদিজির সরকার বা মোদিজি এমনিতে রেউড়ি বিতরণ বা ডাইরেক্ট ট্রান্সফার নিয়ে যতই ক্রিটিক্যাল হন না কেন, ওই ডাইরেক্ট ট্রান্সফার কিন্তু এখন বিজেপির নির্বাচনী রণকৌশলের মধ্যে ঢুকে গেছে। বিহার, ইউপি, এমপি, মহারাষ্ট্র বা উত্তরাখণ্ড, হিমাচলে এই ইস্যু বিরাট কাজ করেছে। চার নম্বর অস্ত্র হল মোদিজি নিজেই, তিনিই সুশাসনের গ্যারান্টি, তিনিই প্রার্থী, তিনিই সরকার, তিনিই রক্ষা কর্তা, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়, বার বার করে তিনি এক চায়ওয়ালা, তাঁর গরিব পরিবারে জন্ম, তিনি এগুলোর মধ্যদিয়েই বংশানুক্রমিক রাজনীতির এক বিরাট সমালোচক হয়ে ওঠেন, মানুষ সেটা বিশ্বাসও করেন। এই চার অস্ত্রে বলীয়ান বিজেপি এরপরেও স্থানীয়ভাবে কিছু ইস্যুকে হাতে নেয়, যা সারা দেশে কাজ করে না, বা সারা দেশের ইস্যু নয়। আর এই প্রত্যেকটা অস্ত্র নিয়ে এক বিরাট লড়াইয়ে নামার আগে বিজেপি অবাক হয়ে দেখছে যে এর প্রায় প্রত্যেকটা ইস্যুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগে থেকেই ধরেছেন, সেই ইস্যুগুলো ক্রমশ নন-ইস্যু হয়ে যাচ্ছে। প্রথমেই আসুন হিন্দুত্ব নিয়ে, এই হিন্দুত্বকে যখন আমাদের বাংলাতে রাখা হয় তখন খুব পরিষ্কার করে এ রাজ্যের বিজেপি কোন ন্যারেটিভটাকে সামনে রাখে সেটাকে বুঝে নেওয়া যাক। শুভেন্দু অধিকারী থেকে বিজেপির সেজ বড় মেজ নেতারা মমতা এবং তৃণমূলকে মুসলমান তোষণ কেবল নয় হিন্দু বিরোধী হিসেবে তুলে ধরেন। এবং বাংলার ভোট প্রচারে এটা তাঁদের এক অস্ত্র।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | মোদি-শাহের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান
এবারে এই অস্ত্রের বিরুদ্ধে মমতা কী করছেন? গত কয়েক বছর ধরে দুর্গাপুজো, কার্নিভাল, পুজোয় ক্লাবকে টাকা দেওয়া এসব তো চলছিলই এবারে দিঘাতে জগন্নাথদেবের মন্দির উদ্বোধন করার মধ্য দিয়ে নির্বাচনের ক’ মাস আগে থেকেই মমতা ওই হিন্দু বিরোধী ন্যারেটিভের বদলে এক সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের ছবি তুলে ধরতে চাইছেন, এবং সেই কাজে অনেকটা সফল। উনি দুর্গাপুজো থেকে বড়দিন, ইফতার থেকে জগন্নাথ ধাম একই সঙ্গে সামনে রেখে এই সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের যে চেহারা তুলে ধরছেন তা আমাদের এই বাংলার সামাজিক ধার্মিক ঐতিহ্যের সঙ্গে অনেক বেশি মানানসই। এই বাংলাতে চৈতন্য, রামকৃষ্ণ, বিবেকানন্দ যে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথা বলে গেছেন তা বিজেপির হিন্দুত্বের ভাবনার সম্পূর্ণ বিরোধী এক দর্শন। এক নাস্তিক বা ইউরোপীয় ধর্মনিরপেক্ষতার চিন্তাভাবনা দিয়ে বিজেপির সঙ্গে লড়া খুব কঠিন কিন্তু বিজেপির হিন্দুত্বের বিরুদ্ধে সর্ব ধর্ম সমম্বয়ের চিন্তা অসম্ভব কার্যকরী, এ বাংলাতে, গোটা দেশেও। কাজেই আজ নয় কাল এই সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের স্লোগানকে সামনে রেখেই বিজেপির বিরুদ্ধে লড়তে হবে, সেদিনও মমতা সেই লড়াইয়ে এগিয়ে থাকবেন। বিজেপির জঙ্গি জাতীয়তাবাদে রাজ্যে তেমন কার্যকরী নয়, আমাদের রাজ্যে সেই জাতীয়তাবাদের ন্যারেটিভে বাংলার বিজেপি তেমনভাবে নিয়ে নেমেছে এমনও নয়। যে অস্ত্র কমিউনিস্ট বা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায়, সেই একই অস্ত্র তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা যায় না।
এরপরে বিজেপির তিন নম্বর অস্ত্র ডাইরেক্ট বেনিফিসিয়ারি তৈরি করা। সে খেলায় ইতিমধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এক ডজন গোল দিয়ে বেরিয়ে গেছে, বিজেপি ভেবেই উঠতে পারছে না, ঠিক কী করা উচিত। একবার তারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রীর বিরোধিতা করছে, পরমুহূর্তেই বুঝতে পারছে যে এর ফলে আরও ভোট কমবে, তারা আরও বেশি টাকার দাবি জানাচ্ছে। মোদ্দা কথা এই সরাসরি মানুষকে পাইয়ে দেওয়ার যে ব্যবস্থা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন তা সারা দেশের রাজনৈতিক দল আর সরকার অনুকরণ করছে, কাজেই সে অস্ত্র বিজেপির কাজ করছে না। চার নম্বর অস্ত্র হলেন মোদিজি নিজে। কিন্তু পরপর ভোটে প্রমাণিত সেখানে বিধানসভার ভোটে মোদিজির তুলনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যারিশমা, আকর্ষণ সামান্য হলেও বেশি বই কম নয়। দেশের অন্য কোনও রাজ্যে মোদিজির উল্টোদিকে এরকম রাজনৈতিক মুখ নেই, অভিজ্ঞতা, ধারে ভারে সমানে সমানে লড়াই কেবল এই বাংলাতেই হয়। মানে সারা ভারতে বিজেপি যে চারটে ইস্যু নিয়ে লড়ে, যে অস্ত্র নিয়ে লড়ে তার সবকটাই এখানে প্রায় অচল। এবারে আসুন আরও কিছু ইস্যু যা বিজেপির হাতে ছিল কিন্তু তা আপাতত ভোঁতা। বিজেপি প্রায়সই বলে থাকে ভোটার লিস্টে কারচুপি করে তৃণমূল ভোটে জেতে। এই প্রথম জাতীয় নির্বাচন কমিশন বিরোধী কোনও রাজনৈতিক দলের ভোটার লিস্টে কারচুপি বা গন্ডগোলের কথা মেনে নিয়ে জানাল যে তারা এই অভিযোগ আগামী তিন মাসের মধ্যে সমাধান করবে। অর্থাৎ তৃণমূলের অভিযোগ যে সত্যি, তাতে যে কিছু সত্যি আছে তা মেনে নিল নির্বাচন কমিশন। এখন শুভেন্দু অধিকারীর কারচুপি করে ভোটে জেতার যাবতীয় অভিযোগ মাঠে মারা যাবে। এই ইস্যু নিয়ে কথা উঠলেই জবাব আসবে আপনাদের সরকার, আপনাদের নির্বাচন কমিশনার, তারা সর্বসমক্ষেই স্বীকার করে নিয়েছেন যে গড়বড় আছে, গন্ডগোল আছে, এরপরে এই কথা বলা আর সাজে না। এরপরে ভারত জুড়েই বিজেপি সময় সুযোগ দেখে বংশানুক্রমিক শাসনকে টার্গেট করে, দলের মধ্যে ফাটল ধরায় সেই সব উচ্চাকাঙ্ক্ষী নেতাদেরকে নিয়ে যারা এক নম্বর হতে চায়, কিন্তু ওই বংশানুক্রমিক শাসনের জন্য হতে পারে না। হ্যাঁ কংগ্রেসের তরুণ নেতাদের ওইভাবেই ভেঙেছে, একনাথ শিন্ডেকে সেইভাবেই ভাঙিয়ে নিয়ে গেছে, এ বাংলাতে উচ্চাকাঙ্ক্ষী শুভেন্দু অধিকারীও সেই একই দলে পড়েন।
কিন্তু তাকিয়ে দেখুন বাংলা জুড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক নম্বরে, তিনিই দল, তিনিই নেতা, তিনিই একটা পাওয়ার সেন্টার সেটা প্রমাণ করার জন্য এক বিরাট সফল প্রচার জারি আছে, মানুষ খানিক বিশ্বাসও করেছেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আছেন, তিনি গুরুত্বপূর্ণ নেতা, কিন্তু তিনিই দু’ নম্বর? এখানে একটা জিজ্ঞাসা চিহ্ন বসাতে পেরেছে তৃণমূল দল। কতটা প্রচার, কতটা সত্যি জানি না কিন্তু এই কাজের ফলে ওই বংশানুক্রমিক শাসনের ইস্যুটা ব্যাকবেঞ্চে চলে গেছে তা বলা বাহুল্য। পড়ে রইল সেই পুরনো দুর্নীতির ভূরি ভূরি অভিযোগ, আপনারা ভাবুন সেই দিনের কথা মুরলীধর লেনের দফতরে নির্বাচনের ঠিক আগেই সেই ভিডিও, হাতে, প্যাকেটে, তোয়ালে জড়িয়ে টাকা নিচ্ছেন তৃণমূল নেতারা, তারপরে সারদা, তারপরে চাকরি চুরি, এত শত দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে, তার কিছু ভিত্তিও আছে, কিন্তু মাথায় রাখুন সি-ভোটারের সেই সমীক্ষার কথা দেশের ৮০ শতাংশ মানুষ দুর্নীতিকে কোনও ইস্যু বলেই মনে করেন না। এ পোড়ার দেশে দুর্নীতি থাকবে, এটা ধরে নিয়েই পাবলিক এখন তার নিজের আখের বুঝে নিতে চায়, তার থেকেও বেশি জরুরি স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী ইত্যাদি, জরুরি স্থানীয় রাস্তাঘাট, জরুরি সরকারি পরিষেবা। এবং এই সবের শেষে রয়েছে রাবণ বধের ব্রহ্মাস্ত্র, বিজেপির বিরুদ্ধে সারা দেশে পরীক্ষিত অস্ত্র এক আইডেন্টিটি পলিটিক্স, ভাষা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস সব মিলিয়ে এক জাতি পরিচয়ের রাজনীতি কিন্তু বিজেপির কাছে বিরাট সমস্যা। কারণ তাদের এক ভাষা, এক ধর্ম, এক সংস্কৃতি, এক দল ইত্যাদি নিয়ে এক কেন্দ্রীয় ভারতবর্ষের চিন্তার বিরোধী এক যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো, ভাষা বৈচিত্র, সংস্কৃতি বৈচিত্র বিরাট সমস্যার। ভারতবর্ষের চিরন্তন বৈচিত্রের মধ্যে একতার সুর বিজেপির কাছে প্রায় মৃত্যুবাণ, সেই ইস্যুটাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেশ যত্ন করে শান দিচ্ছেন, নির্বাচন যত কাছে আসবে তত বেশি এই ব্রহ্মাস্ত্রে শান পড়বে, এক বাঙালি জাতিগর্ব উঠে আসবে, বিজেপির উত্থানকে রুখতে সেটাই কফিনের উপরে শেষ পেরেক। চোখ রাখুন আগামী দিনগুলোর দিকে, শুনবেন আরও বেশি করে বাঙালি জাতিসত্তার কথা, শুনবেন সর্ব ধর্ম সমন্বয়ের কথা, শুনবেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, সবুজ সাথী আর স্বাস্থ্যসাথীর কথা, বিজেপি বুঝতে পারবে এই বাংলাতে তাদের বেশি কিছু করার নেই, শুভেন্দু অধিকারি ক্রমশ একলা হবেন, তাঁর দলের থেকে আরও অনেক নেতারা খসে যাবেন। আপাতত এটাই ২০২৬-এর আগের চালচিত্র। অন্যান্য রাজ্যের রাজনীতিতে ডালে ডালে সন্তর্পণে চলে আচমকাই জয় ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি, এই বাংলায় ঠিক উল্টো ছবি, রাজনীতির কূট খেলায় এখনও মমতা অনেক অনেক এগিয়ে।