skip to content
Sunday, February 9, 2025
HomeScrollFourth Pillar | মোদিজি, আপনি ভগবান, মানুষ না ভূত, সেটা মানুষ ঠিক...
Fourth Pillar

Fourth Pillar | মোদিজি, আপনি ভগবান, মানুষ না ভূত, সেটা মানুষ ঠিক করে দেবে

সাংবাদিকদের সামনে এলে গলা শুকিয়ে যায়, এক গ্লাস জল খেয়ে ইন্টারভিউ থেকে পালিয়ে বাঁচেন

Follow Us :

বড় বড় সব খাঞ্জা খাঁয়ের দল মরার আগে নিজের সমাধি তৈরি করিয়েছেন, বেঁচে থাকতেই নিজেকে অমর করে রাখার জন্য মন্দির বানিয়েছেন, মসজিদ বানিয়েছেন, কেবল বানিয়েই ক্ষান্ত হননি, তারপরে তার গায়ে দেওয়ালে তাঁর নিজের মহান হওয়ার কথা লিখে গেছেন। কোথাও তিনি জনদরদি, কোথাও পণ্ডিত, কোথাও ধর্মে অগাধ আস্থা কোথাও বা মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ ইত্যাদি লিখে গেছেন। কিন্তু সমস্যা হল তার ২০০-৪০০-১০০০ বছর পরে মানুষ তাঁদের নিজেদের মতো করেই সেই মানুষটাকে মনে রেখেছে, তিনি যেমনটা বলে গেছেন, মন্দির বা মসজিদের গায়ে লিখে গেছেন, বেশিরভাগ সময়েই মানুষ সে সবকে পাত্তাও দেয়নি। কবি সম্ভবত তাই বলেছিলেন, আপনারে বড় বলে বড় সেই নয়, লোকে যারে বড় বলে বড় সেই হয়। তো আদ্যন্ত মিথ্যেবাদী, প্যাথোলজিকাল লায়ার আমাদের প্রধানমন্ত্রী গঙ্গাজলে ডুব দেওয়ার সময়ে মিডিয়ার সামনে, ক্যামেরা সামনে নিজেকে নন-বায়োলজিক্যাল বলে ঘোষণা করেছিলেন। মানে উনি নাকি আপনি আমি ঘনাদা পচাদা বিশু কালোদার মতো, অন্য সব মানুষের মতো বাবা-মায়ের সন্তান নন, স্বর্গ থেকে ভগবান ওনাকে টুক করে রেখে গেছেন এই ধরাধামে, উনি ভগবান বা ভগবানের প্রেরিত দূত। আগে আমরা জানতামই যে উনি মানে আমাদের চৌকিদার লজিক্যাল নন, আমরা সবে সেটা মেনে নেওয়া প্র্যাকটিস করছিলাম, সেই মুহূর্তে জানা গেল উনি বায়োলজিক্যালও নন। কী কাণ্ড!

হ্যাঁ, ২১ মে ২০২৪, নির্বাচনের আগে আমাদের মাদার অফ ডেমোক্রেসির ফাদার এক সাক্ষাৎকারে নিজেই জানিয়েছেন যে তিনি মায়ের গর্ভ থেকে জন্ম নেননি, মানে পৃথিবীতে যেভাবে আর পাঁচজন জন্মায় তিনি সেভাবে জন্ম নেননি, ভগবান স্বয়ং তাঁকে নিজের হাতে তৈরি করে পৃথিবীতে নামিয়ে দিয়েছেন মাত্র, মানে তিনি অবতীর্ণ হয়েছেন। পৃথিবীতে আসার পরে প্রথম শিক্ষক আমার বাবা বলতেন চোখ কান খোলা রাখবি কারণ যতদিন বাঁচি ততদিন শিখি, সত্যিই কত কিছু দেখেছি, শিখেছি, এবার যেটুকু বাকি ছিল তাও পূর্ণ হল, নিজের চোখে অবতার দেখে ফেললাম, আহা চোখে কার্টিয়ের সানগ্লাস পরা, পকেটে মঁ ব্লাঁ পেন, দিনে তিন-চারবার পোশাক পরিবর্তন করা এক অবতার দেখে ফেললাম আমরা, যিনি আবার বলছি, বায়োলজিক্যালি জন্মই নেননি। মানে জীবন বিজ্ঞানের নিয়ম মেনে এক শুক্রাণু, এক ডিম্বাণু নিষিক্ত হয়ে তাঁর জন্ম হয়নি, তিনি ঈশ্বর সৃষ্ট অবতার হিসেবে অবতীর্ণ হয়েছেন। এমনিতে উনি জন্মদিন নিয়ে বিস্তর মিথ্যে বলেছেন তবুও ধরে নেওয়া যাক ওই সেই দিনটা যেদিন দেশসুদ্ধু মানুষকে তিনি থালা গেলাস বাজাতে বলেছিলেন, সেই দিনই ছিল তাঁর ধরাধামে অবতীর্ণ হওয়ার দিন। জোকস অ্যাপার্ট, কোনও সুস্থ মানুষ আজ এই যুগে এরকম কথা বলতে পারে? বললে তাঁর সুস্থতা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না?

না, উঠবে না। কারণ বহুবার বহু শাসকের মধ্যে নিজেকে ঈশ্বরের অবতার মনে করার রোগ ইতিহাসে আছে। মেগ্যালোম্যানিক এক মানুষই ক্ষমতা পেলে স্বৈরাচারী হয়ে ওঠে, সেই জন্যই পৃথিবীর প্রায় সমস্ত স্বৈরাচারীরা নিজেদের ঈশ্বরের অংশ বা ঈশ্বর-সৃষ্ট বা ঈশ্বর-প্রেরিত অবতার বলেই মনে করতেন। মধ্যযুগের প্রায় প্রত্যেক শাসক একথা মনে করতেন, অন্তত সেটাই মানুষকে বলা হত, হীরকের রাজা ভগবান, এ তো আমরা জানি, শুনেছি। ধর্ম, ঈশ্বর আর রাষ্ট্রের ক্ষমতা মিলেই মধ্যযুগীয় ইতিহাস চলেছে, এই শাসকদের কেউ আল্লার, কেউ ক্রাইস্টের, কেউ বা ভগবান প্রেরিত দূত বা অবতার ছিলেন। মোদিজি, আরএসএস–বিজেপি সেই মধ্যযুগীয় শাসন ব্যবস্থা ফিরিয়ে আনতে চান, কাজেই এবার তাঁকে নিজের মুখেই এই অবতার বা ঈশ্বর প্রেরিত দূতের মনোহর কহানিয়া মানুষকে বলতে হচ্ছে। এর আগে আমরা নরেন্দ্র মোদির মন্দির দেখেছি, সেখানে পুজো অর্চনা দেখেছি, ভেবেছি ওসব অন্ধভক্তদের বাতুলতা, পুজোর আসনের পাশে জ্যোতি বসুর ছবিও তো আমরা দেখেছি, তেমন অন্ধ ভক্তের কাজ বলেই আমরা এড়িয়ে গেছি। উনি ছিলেন চৌকিদার, তারপরে প্রধান সেবক, তার কিছুদিন পর থেকে হিন্দু হৃদয় সম্রাট বলা শুরু হল। তারপর বিজেপির অন্যতম মুখপাত্র সম্বিত পাত্র, সে আর এক ভাঁড়, তিনি বললেন জগন্নাথদেব মোদিজির ভক্ত, আমরা ভেবেছিলাম মুখ ফসকে বলে ফেলেছেন, এখন দেখছি তা নয়, মোদিজি নিজেই বলছেন উনি ঈশ্বর প্রেরিত অবতার। আচ্ছা আধুনিক ইতিহাসে আমাদের দেশে বা বিদেশে এরকম গণতান্ত্রিক দেশে এমন উদ্ভট কথা কেউ বলেছে? এর কোনও উদাহরণ আছে? আছে, তবে তাঁরা নিজেরা কেবল ইঙ্গিত দিয়েছেন, বাকিটা সেই শাসকের চেলা চামচারা বলেছে,

আরও পড়ুন: Fourth Pillar | ইন্ডিয়া জোটের ভবিষ্যৎ কি মিউজিয়ামে?

যেমন ধরুন হিটলার, তিনি নিজের খুব দ্রুত এবং সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাকে ঈশ্বর প্রদত্ত বলেছেন আর সেটাকে নিয়েই এক বিশাল মিথ তৈরি করেছিলেন গোয়েবলস, সেভিয়র অফ সিভিলাইজেশন নামে এক বিশাল কনক্লেভে ডেকে শিল্পী, গায়ক, অভিনেতা, লেখক, বুদ্ধিজীবী ইত্যাদিদের দিয়ে বলানো করিয়েছিলেন হিটলার ঈশ্বর প্রেরিত দূত। যদিও হিটলার সে অনুষ্ঠানের সবটাই উপভোগ করেছিলেন কিন্তু নিজে ভগবান বা ওই আমার জন্ম বায়োলজকালি নয় গোছের মূঢ়তা দেখাননি। মুসোলিনি পোপের মতো ব্যালকনিতে এসে হাত নাড়াটাকে আয়ত্ত করেছিলেন আর জেনারেল ফ্রাঙ্কোর ছবি লটকানো থাকত সর্বত্র, সেনাবাহিনী সেই পথে গেলেই স্যালুট দিত। ইসলামিক দেশগুলোর কথা বাদই দিলাম, সেখানে তো বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই শাসক ঈশ্বরের প্রেরিত দূত বা প্রতিনিধি, কিন্তু সভ্য গণতান্ত্রিক কাঠামোতে এক শাসক নিজেকে মহামানব বলে দাবি করছেন এমনটা হয়নি। যদি দিল্লির কথা বলেন তাহলে মধ্যযুগে তো রাজা রাজড়ারা ঈশ্বরের প্রতিনিধি ছিলেনই, কিন্তু সুলতান গিয়াসুদ্দিন বলবন এক ধাপ এগিয়ে নিজেকে নাইব-এ-খুদাই বলে ঘোষণা করেছিলেন, তিনি নিজেকে কোনওরকম বিচারের ঊর্ধ্বে নিয়ে গিয়েছিলেন এই ঘোষণা করে। আসল কথাটা এটাই, এরকম ঘোষণা, মানে নিজের উপর দেবত্ব ঘোষণা আসলে নিজেকে আইন কানুন সংবিধানের ওপরে নিয়ে যাওয়ারই এক কায়দা মাত্র। কিন্তু কেন তিনি নিজেকে ভগবান হিসেবেই ঘোষণা করেছিলেন? প্রথম কারণ হল কেবল হিন্দু ধর্ম, মুসলমান, মসজিদ, রামমন্দির করেও কিছু হচ্ছে না এখন তাই নিজেই ভগবান হয়ে ওঠার কথা বলছেন মোদিজি। অনেকেই এই ঘোষণা এক বাচালের বাতুলতা বলে মনে করেন, সেভাবেই এই কথার ব্যাখ্যা করছেন, বিষয়টা অনেক গভীরে। আসলে এই আরএসএস-বিজেপির মূল ধারণাটাই এসেছে ওই হিন্দুত্ববাদ থেকে, যা আর দশজন সাধারণ হিন্দুর মতবাদ নয়, যা এক প্রবল হিন্দুত্ববাদ যা এক জঙ্গি রাষ্ট্রবাদের জন্ম দেয়, যা এক নয়া অবতারের, এক মসিহার কল্পনা করে, যা দেশের সংবিধানের বিরোধী, সেই মতবাদেরই এক বহির্প্রকাশ হল এই ঈশ্বরের দূত হওয়ার চেষ্টা।

সাভারকর থেকে গোলওয়ালকর, হেডগাওকর, আরএসএস গুরুরা পরিষ্কার বলে গেছেন, এ দেশে তাঁরাই থাকবেন, এদেশের নাগরিক হবেন তাঁরাই যাদের কাছে এ দেশ জন্মভূমি এবং একই সঙ্গে পূণ্যভূমি। মানে কেবল জন্মভূমি হলেই হবে না, এই দেশ তাদের কাছে পূণ্যভূমিও হতে হবে। মানে এক সংখ্যালঘু মুসলমান ভাইয়ের কাছে তাঁর পূণ্যভূমি কাবা হতে পারবে না, তার পূণ্যভূমি এই ভারতেই হতে হবে, একজন খ্রিস্টান মানুষের পূণ্যভূমি ভ্যাটিক্যান চার্চ কিংবা বেথলেহেম হতে পারবে না, তাদের পূণ্যভূমি এই দেশেরই হতে হবে। সোজা কথা হল, তার ধর্মের অধিকার থাকবে না। ১৯৫২ সালে জনসংঘের কর্মসূচিতেও এই কথাই ছিল, বিজেপি এই কথা মানে, এটাই তাদের দর্শন। তাদের মতে প্রত্যেক মানুষকে ধার্মিক হতে হবে এবং সে ধর্ম এই ভারতের হতে হবে। পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে যে বিজেপি আমাদের দেশের সংখ্যালঘুদের বাদ দিয়েই দেশটাকে চালাতে চায়। সেই কারণেই তাদের প্রশাসন ব্যবস্থা অসম্পূর্ণ। তারা সবার সঙ্গে, সবাইকে নিয়ে চলতে রাজি নয়, পদে পদে দেশ আর দেশের মানুষকে বিপদে ঠেলে দিচ্ছেন। যে দেশের রাষ্ট্রপতি মুসলমান ছিলেন, শিখ ছিলেন, প্রধানমন্ত্রী শিখ ছিলেন, সেনাবাহিনীর উচ্চতম পদে মুসলমান, শিখ, খ্রিস্টান, হিন্দুরা দায়িত্ব নিয়ে কাজ করেছেন সেই দেশের সেনাবাহিনী, রাষ্ট্রপতি, উপরাষ্ট্রপতি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকার কোথাও একজনও মুসলমান নেই, খ্রিস্টান নেই, দেশে শাসকদলের ২৪০ জন সাংসদের মধ্যে একজনও সংখ্যালঘু মানুষ নেই, এ কী কাকতালীয় ব্যাপার? আমাদের এই দুগ্ধপোষ্য কথাবার্তা বিশ্বাস করতে হবে? ঠিক সেই জন্যই তাঁরা প্রত্যেক নির্বাচনে এই ভয়ঙ্কর মেরুকরণের ডাক দেন, এই জাতি ঘৃণা আমাদের দেশকে পিছিয়ে দিচ্ছে, সেটা ওনারাও জানেন। তাই দেশের প্রধানমন্ত্রী, দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মানুষের কাছে যেতে ভয় পান, সাংবাদিকদের মুখোমুখি হতে ভয় পান।

দ্বিতীয় কারণ হল এই নেতৃত্বের অশিক্ষা, চূড়ান্ত অশিক্ষা। এবং নিজের অশিক্ষার বাইরে শিক্ষিত মানুষজনদের প্রতি ঘৃণা। এই সরকারের প্রথম বড় ঘোষণা, ডিমনিটাইজেশন। এতবড় মূর্খের মতো পদক্ষেপ এর আগে দেখা যায়নি। কেউ জানে না সাত-তাড়াতাড়ি করে দিলেন। পরদিন অর্থনীতিবিদরা আঁতকে উঠে বললেন বন্ধ করুন, ফিরিয়ে নিন সিদ্ধান্ত। উনি কানও দিলেন না। সেই আমাদের জিডিপির পতন শুরু, এখনও চলছে। এরপরেই জিএসটি, সারা দেশে অর্থনীতিবিদ হিসেবে কমরেড অসীম দাশগুপ্ত ছাড়া প্রায় প্রত্যেকে বললেন, সাততাড়াতাড়ি করার আগে আরও প্রস্তুতি দরকার। প্রধানমন্ত্রী যাঁর স্কুলের ঠিকানা আজও মেলেনি তিনি বললেন, আমি হার্ভার্ড নয় হার্ডওয়ার্ক-এ বিশ্বাস করি, সবে দাঁড়াতে গিয়ে জিডিপি আবার হুমড়ি খেয়ে পড়ল। পৃথিবীর সব অর্থনীতিবিদরা বলছেন অতিমারির অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে অর্থনীতিতে, তা আটকাতে হলে গরিব মানুষের হাতে টাকা দিন। উনি তো অর্থনীতিবিদদের কথা শোনেন না, জ্যোতিষ, রামদেব, বাবাজি মাতাজিদের কথায় থালা বাজাও, দিয়া জ্বালাও ওনার নিদান। এক অশিক্ষিতের জন্য আবার অর্থনীতি বেহাল। দ্বিতীয় ওয়েভ যখন আসছে, তিনি ব্যস্ত ছিলেন বাংলার নির্বাচন নিয়ে, ডেইলি প্যাসেঞ্জারি করছেন আর মহা পূণ্যভূমির কুম্ভস্নানের জন্য আসা পুণ্যার্থীদের বধাই দিচ্ছিলেন, স্বাগত জানাচ্ছেন। ফল সবার জানা। আসলে এই অশিক্ষা দেশকে ডোবাচ্ছে, সেই অশিক্ষার কথা কি তাঁরা নিজেরা জানেন না?

জানেন বলেই মানুষের মধ্যে যেতে ভয়, সাংবাদিকদের সামনে এলে গলা শুকিয়ে যায়, এক গ্লাস জল খেয়ে ইন্টারভিউ থেকে পালিয়ে বাঁচেন নরেন্দ্রভাই দামোদরদাস মোদি। আর সেই বিচ্ছিন্নতা কাটাতেই নিজেকে আরও মহান করে তোলার চেষ্টায় মোদিজি নিজেকে অবতার বানিয়ে ফেললেন। তো ভগবান তো হলেন, এবারে ঘাড়ের উপরে বোঝা বাড়ছে, নিজেকে ভগবান ঘোষণার পরে ৩০৩ থেকে নেমে এক ধাক্কায় ২৪০। দু’জন ধুরন্ধর নেতা নীতীশ কুমার আর চন্দ্রবাবু নাইডুর মর্জির ওপরে টিকে আছেন, অর্থনীতি বেহাল, বেকারত্ব বাড়ছে। এবারে প্রশ্ন উঠবেই মিস্টার ভগবান, হচ্ছেটা কী? তাই আবার তেনার ভেক বদল। এবার জানিয়েছেন, না না আমি ভগবান নই, আমি মানুষ। সমস্যা আরও বাড়ল, ভগবানকে তো প্রশ্ন করা যায় না, মানুষকে তো প্রশ্ন করা যায়, কাজেই ঝাঁকে ঝাঁকে প্রশ্ন আসবেই তাঁর দিকে, যার কোনও উত্তর তাঁর কাছে নেই। এর আগে আমাদের কোনও প্রধানমন্ত্রী নিজেকে ভগবান বা মানুষ ইত্যাদি বলার জন্য সাংবাদিকদের ডাকেননি, তাই বলি কি মোদিজি, আপনি ভগবান না মানুষ না ভূত, সেটা আপনার মুখে কেউ শুনতে রাজি নয়, মানুষ তার অভিজ্ঞতা দিয়েই বিচার করবেন। তারপর, সেই মানুষই আপনাকে কী মনে করে সেটা জানিয়ে দেবে, একটু সময় নেবে ঠিকই, কিন্তু লক্ষ লক্ষ মানুষের সেই অভ্রান্ত বোধের জন্য আপনাকে অপেক্ষা করতেই হবে, ইন দ্য মিন টাইম, দয়া করে বাওয়াল না দিয়ে মানুষের জন্য কিছু কাজ করুন।

RELATED ARTICLES

Most Popular