ট্রাম্প সাহেব ওনার দেশ থেকে বেআইনিভাবে থাকা ভারতীয়দের ফেরত পাঠাচ্ছেন, আবার ক্ষমতায় এসেই বলেছিলেন যে ইললিগাল ইমিগ্রান্টদের ফেরত পাঠাবেন, কাজটা ভারতীয়দের দিয়ে শুরু হল, এমনিতে এই ইললিগ্যাল ইমিগ্রান্টস ব্যাপারটা কিন্তু খুব সহজ বিষয় নয়। সেই অর্থে ট্রাম্পের পূর্বপুরুষো আদতে ওই ইললিগাল ইমিগ্রান্টই ছিলেন, আমেরিকাতে সাদা চামড়ার লোকজন বাইরে থেকেই এসেছিল, তারপরে স্থানীয় আদিবাসীদের মেরে হটিয়ে, প্রায় নিশ্চিহ্ন করে তাদের বসবাস শুরু করেছিল। এই অনুপ্রবেশ সারা পৃথিবীর সমস্যা, সমস্যা আদতে অর্থনৈতিক যার সঙ্গে সামাজিক রাজনৈতিক বিভিন্ন বিষয় আছে। কিন্তু পৃথিবীর যে কোনও জঙ্গি জাতীয়তাবাদী নেতারা এই অনুপ্রবেশের ধুয়ো তুলে আসলে দেশের মানুষের কাছে এক কল্পিত শত্রুকে খাড়া করতে চায়, তারপরে এই অনুপ্রবেশকারীদের বৃত্তটাকে বাড়াতে থাকে, এ নতুন কিছু নয়। দেখুন না ট্রাম্প সাহেব অনুপ্রবেশকারীদের দেশে ফেরত পাঠাবেন, তারজন্য তাদের হাতকড়া পরিয়ে সেনাবাহিনীর বিমানে পাঠানোর কোন দরকারটা ছিল? ছিল, কারণ তিনি বোঝাতে চান যে এটা একটা যুদ্ধ। তিনি দেশের মানুষের, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের হয়ে এক যুদ্ধ লড়ছেন, যেমনটা ক্ষমতায় এসেই মোদিজি শুরু করেছিলেন, এখন বোঝা গেছে সেই যুদ্ধ লড়ে দেশের বেকারদের চাকরির, কৃষকের ফসলের ন্যায্যমূল্যের বা শ্রমিকের ন্যায্য মজুরির কোনও সুরাহা হবে না। যে কোনও দেশের এক স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রী যখন স্লোগান দেন অব কি বার ট্রাম্প সরকার তখনই বোঝা যায় যে উনি দেশ নয়, দেশের অর্থনীতি নয়, দেশের স্বাধীন বিদেশনীতি নয় অন্য কিছুর তালে আছেন। আর যদি অন্য কোনও বদ উদ্দেশ্য না থাকে তাহলে নিশ্চিত এক উন্মাদ। আমাদের মোদিজিকে দেখে এরকম কিছু মনে হওয়াটাই স্বাভাবিক।
খেয়াল করে দেখুন ট্রাম্প এসেছেন ক্ষমতায়, তাঁর প্রত্যেকটা সিদ্ধান্ত তিনি তাঁর দেশের দিকে তাকিয়েই নিচ্ছেন। ধরুন ইললিগ্যাল ইমিগ্রেশন, বেআইনি ভাবে আমেরিকাতে গিয়ে বসবাসের সমস্যা আজকের নয়, ট্রাম্প সেটাকে নিয়ে পড়লেন কেন? কারণ তিনি তাঁর দেশের বেকার, চাকরিপ্রার্থীদের কাছে হিরো হতে চান, তিনি চান সেই সমস্ত চাকরি বা আয়ের উপায়গুলো দেশের যুবক যুবতীদের কাছেই থাকুক। তিনি আমদানিতে শুল্ক বাড়াচ্ছেন, কেন? নির্বিচারে বাড়াচ্ছেন, কে তাঁকে ডেকে নিয়ে গিয়ে গলা জড়াজড়ি করেছেন, কে বলেছেন অবকি বার ট্রাম্প সরকার, এসব তাঁর বিবেচনার মধ্যেই নেই, আমদানি শুল্ক বাড়িয়ে সেই সব জিনিসপত্র যা তাঁদের দেশেই উৎপাদন হয়, সেই উৎপাদকদের কাছে একটা লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে চাইছেন।তাঁর নিজের দেশের উৎপাদকরা মার খাবে আর অন্য দেশ এসে ব্যবসা করে যাবে, এমন উজবুকমার্কা অর্থনীতিতে তাঁর বিশ্বাস নেই, তাঁর কাছে প্রথম বিবেচ্য হল তাঁর দেশের মানুষ। অবশ্যই তিনি ইলন মাস্ক থেকে অমেরিকার বড় পুঁজিপতি হাউসগুলোকে সুবিধে দেবেন, কিন্তু তা দেশের আপামর মানুষের সাধারণ স্বার্থের বিনিময়ে নয়। এই সেদিনেই তিনি বললেন, দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবেই বললেন যে ডিপসিক বা চীনের ওই ধরনের যাবতীয় আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স-এর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তার আবিষ্কারকে পাল্লা দিতে রাষ্ট্র সব ধরনের সাহায্য করবে। তিনি আসার পরেই সামান্য কিছু সিদ্ধান্তের ফলে ডলার মাথাচারা দিয়ে উঠে বসেছে, তিনি জানাচ্ছেন এই গবেষণা বাবদ বরাদ্দ বাড়ানো হবে। আর আমাদের দেশের বাজেটে ৫০০ কোটি টাকা, হ্যাঁ মাত্র ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেই কাজ সেরেছেন মোদিজি। বাংলাদেশকে দেখুন, জেনেই গেছেন যে আমেরিকা থেকে আপাতত খুব বেশি সাহায্য আসবে না, কাজেই তাঁরা বাকি জায়গাগুলোতে কড়া নাড়া শুরু করে দিয়েছেন। তাঁরা ইউরোপের প্রত্যেকটা দেশ, চীনের সঙ্গে সুসম্পর্ক বাড়ানোর চেষ্টা করছেন। ভারতকে সোজাসুজিই জানিয়ে দিয়েছেন ভাই পারস্পরিক শ্রদ্ধার ভিত্তিতে সম্পর্ক রাখতে চাইলে আছি না হলে নেই। কবে নির্বাচন হবে জানি না, কবে সংবিধান বদলাবে জানি না কিন্তু বাংলাদেশ তার স্বাধীন বিদেশনীতি নিয়ে মাঠে তো নেমেছে। মোদিজি এখনও সেদিকে ভাবনাচিন্তাও শুরু করেননি।
রাশিয়ার সঙ্গে মোদিজির দোস্তি ইউরোপের দেশের কাছে ভালো ঠেকেনি, আবার রাশিয়ার সঙ্গে চীনের দোস্তি বিষয়টাকে আরও কমপ্লিকেটেড আরও জটিল করে তুলেছে। এক সময়ে ভারত রাশিয়া শিবিরের সঙ্গেই ছিল, সমাজতান্ত্রিক শিবিরের সঙ্গে থাকার সময়েও একটা হাত বাড়ানো থাকত আমেরিকার দিকে, এক ধরনের হার্ড বার্গেনিং চলত। ৮০-র দশকে সেই বার্গেনিং কাজে দিল রাশিয়ার ভেঙে যাওয়ার পরে। কিন্তু এখন ভারতের বিদেশনীতির মাথামুণ্ডু খুঁজে পাওয়া ভার। একবার প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্লোগান দিচ্ছেন অবকি বার ট্রাম্প সরকার, আবার বাইডেনের স্ত্রীর হাতে তুলে দিচ্ছেন এ যাবত কালে বিদেশি কোনও দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকে দেওয়া সবথেকে বহুমূল্য হিরে। রাশিয়ার সঙ্গে আধা দোস্তি, ওদিকে আমেরিকার হাত ধরে চলার বাসনা, ওদিকে দক্ষিণ এশিয়াতে চীনের বিরুদ্ধে জোট তৈরির চেষ্টা সব মিলিয়ে এক বিশাল গাড্ডার দিকে গেছে ভারতের বিদেশনীতি। আসুন না একবার এই মূহূর্তে দাঁড়িয়ে দুই প্রধান বাণিজ্যিক শক্তিধর দেশ চীন আর আমেরিকার সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যের দিকে একটু চোখ রাখা যাক। ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য (২০২২-২০২৩) মোট বাণিজ্যের পরিমাণ: $১২৮ বিলিয়ন (প্রায় ১০.৫ লক্ষ কোটি টাকা)। ভারতের রফতানি: $৭৮ বিলিয়ন ভারতের আমদানি: $৫০ বিলিয়ন। কী কী আমরা রফতানি করি? ১. হিরে ও রত্ন (১৬ বিলিয়ন), ২.ফার্মাসিউটিক্যালস (৭.৫ বিলিয়ন), ৩. ইঞ্জিনিয়ারিং গুডস (যন্ত্রাংশ), ৪. পেট্রোলিয়াম পণ্য, ৫. টেক্সটাইল। কী কী আমরা আমদানি করি? ১. অপরিশোধিত তেল ($১৩ বিলিয়ন), ২. বৈদ্যুতিক মেশিনারি, ৩. বিমান/হেলিকপ্টার যন্ত্রাংশ, ৪. কেমিক্যালস, ৫. অ্যালুমিনিয়াম। বাণিজ্য ঘাটতি: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের $২৮ বিলিয়ন উদ্বৃত্ত। আমাদের সঙ্গে আমেরিকার হাই-টেক পার্টনারশিপ আছে, সেমিকন্ডাক্টর, AI, কোয়ান্টাম টেকনোলজিতে যৌথ গবেষণা চলছে, কবে তার ফল ফলবে জানা নেই।।
আরও পড়ুন: Fourth Pillar | দিল্লিতে এগিয়ে কে? আপ না বিজেপি?
এবারে আসুন ভারত-চীন বাণিজ্যের দিকে তাকানো যাক। ভারত-চীন বাণিজ্য (২০২২-২০২৩) মোট বাণিজ্যের পরিমাণ: $১৩৫ বিলিয়ন (প্রায় ১১ লক্ষ কোটি টাকা)। ভারতের রফতানি: $১৫ বিলিয়ন। ভারতের আমদানি: $১২০ বিলিয়ন। বাণিজ্য ঘাটতি: $১০৫ বিলিয়ন। এটাই আমাদের দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাণিজ্য ঘাটতি। আমরা কী কী পাঠাই চীনে? ১. লৌহ আকরিক ($২.৫ বিলিয়ন), ২. কটন বা সুতি, ৩. প্লাস্টিক গ্রানিউলস, ৪. সামুদ্রিক খাদ্য। কী কী আমাদের দেশে আসে চীন থেকে? ১. ইলেকট্রনিক্স (মোবাইল, ল্যাপটপ): $৩০ বিলিয়ন, ২. মেশিনারি/টেলিকম যন্ত্রাংশ, ৩. অর্গানিক কেমিক্যালস, ওষুধ তৈরির অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিকাল ইনগ্রিডিয়েন্টস ৪. সৌর প্যানেল। এই চীনের সঙ্গে বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জটা কোথায়? প্রথম হল একতরফা নির্ভরতা: আমাদের দেশে হু হু করে বাড়তে থাকা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রিরর ৭০ শতাংশ সক্রিয় উপাদান (API) চিন থেকে আমদানি। চীন থেকে আসছে কমপিউটার, সস্তার খেলনা আর বাল্ব, যার ফলে আমাদের বাজারে তার প্রতিদ্বন্দ্বীরা ইতিমধ্যেই ভোগে গেছে। তো এই দু’ দেশের সঙ্গে বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণ প্রবণতাগুলো বুঝুন ১. মার্কিন বাজারে ২০২৩-এ ভারতের ফার্মা রফতানি ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি (মার্কিন জেনেরিক ড্রাগ মার্কেটের ৪০ শতাংশ ভারতীয় কোম্পানির দখলে)। অন্যদিকে Apple-এর ৭ শতাংশ আইফোন চিনের বিকল্প হিসেবে এখন ভারতে উৎপাদিত হচ্ছে, কিন্তু সেটা আমাদের টেকনোলজি নয়, কেবল উৎপাদন। ভারত সরকার চেষ্টা করছে PLI (Production Linked Incentive) স্কিম ইত্যাদি দিয়ে মোবাইল, সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনে স্বনির্ভরতা আনতে কিন্তু ফল এখনও নিট জিরো, চীনের দামের সঙ্গে আমাদের উৎপাদন খরচ মেলানো যাচ্ছে না। অন্যদিকে চীনা সোলার প্যানেলে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হয়েছে কিন্তু তাতে করে আমাদের সোলার ইউনিটের লক্ষ্যপূরণ সম্ভব নয়।
মানে দাঁড়াল আমাদের প্রতিবেশী চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্য প্রায় একতরফা। আমরা ওষুধ বানাই, সারা পৃথিবীতে তা রফতানিও করি, কিন্তু তার অ্যাকটিভ ইনগ্রিডিয়েন্ট আসে চীন থেকে। ৭০ শতাংশ। আবার চীনের উপরে আমাদের উচ্চ প্রযুক্তির যন্ত্রাংশের নির্ভরতা আছে। আমেরিকাতে আমরা রত্ন পাঠাই, হিরে ইত্যাদি, কিন্তু তা অর্থনীতির ভাষায় ওই ডায়ামন্ড ওয়াটার প্যারাডক্স, হিরে আর জলের ধাঁধা। হিরে দামি কিন্তু তা জরুরি নয়, জল অনেক কমদামি কিন্তু তা জরুরি। কাজেই যে কোনও মূহূর্তে সেই রফতানি হু হু করে কমে যেতে পারে। আমরা আমেরিকাতে ওষুধ পাঠাই, কিন্তু তার এপিআই আসে ওই চীন থেকে। কাজেই আমাদের অর্থনীতি আর বাণিজ্যের স্বার্থেই আমাদের আমেরিকার সঙ্গে সম্পর্ক রাখার সঙ্গে সঙ্গেই চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করাটা যেমন জরুরি, তেমনই এই চীন নির্ভরতা থেকে বের হওয়াটাও জরুরি। কিন্তু মোদি সরকারের বিদেশ নীতি বাণিজ্য নীতি বা অর্থনীতি কোনও দিক থেকেই এই স্পষ্ট নীতির ধারেকাছেও নেই। তারা মুখে বিরাট চীন বিরোধী, অথচ ঠিক এই মূহূর্তে সব থেকে বেশি বাণিজ্য চীনের সঙ্গে, সব থেকে বেশি বাণিজ্য ঘাটতি ১০৫ বিলিয়ন, সেটাও ওই চীনের সঙ্গে। ওদিকে ট্রাম্প তো মেরে গহরে দোস্ত হ্যায় গোছের কথা বলে মোদিজি বিশ্বগুরু হবার চেষ্টা করছেন, কীভাবে হবেন বিশ্বগুরু? দেশ এখনও একটা লেন্স, হ্যাঁ একটা লেন্স তৈরি করতে পারেনি, দেশ একটা মাইক্রো চিপ তৈরি করতে পারেনি, দেশের বাজেটের ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ আর্টিফিসিয়াল ইন্টলিজেন্স-এর জন্য আর চীনে ধামাকার পর ধামাকা। সবে ডিপসিক এসেছে বাজারে, তাদের বাজারে আসায় আমেরিকায় এনভিডিয়া কোম্পানির ১৭ শতাংশ শেয়ার পড়েছে এক দিনে। এখন শোনা যাচ্ছে আলিবাবা আরও উন্নত এআই টুল নিয়ে হাজির হয়েছে।
আমাদের কৃষিক্ষেত্র এগ্রিকালচারাল সেক্টর মোট জিডিপির ১৬ শতাংশ দেয়, কিন্তু সেই কৃষিক্ষেত্রে ৪৫ শতাংশ শ্রমশক্তি কাজ করে, মানে দেশের এমপ্লয়মেন্টের ৪৫ শতাংশ কৃষিতে। এর পরেই আছে সার্ভিস সেক্টর, যেখানে কর্মসংস্থানের, চাকরির ১৭ শতাংশ কাজ করে, কিন্তু তাদের বেশিরভাগটাই ইউরোপ আমেরিকার দিকে তাকিয়ে আছে, এবং এই আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সির বাড়বাড়ন্ত সেই চাকরিতে ছোবল মারবেই। রইল বাকি ম্যানুফ্যাকচারিং, তা তো ধুঁকছে। মোদিজি মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা আর বাংলাদেশকে চোখ দেখাচ্ছিলেন, এখন বুঝতে পারছেন যে তাতে কোনও লাভ তো হয়ইনি বরং সেই দেশ অনায়াসে চীনের কাছে যাওয়ার সোজা রাস্তাটা খুঁজে নিয়েছে। ওদিকে আমেরিকা তার নিজের স্বার্থকে এতটুকু ক্ষুণ্ণ হতে দেবে না, ট্রাম্প এসেই এক লপ্তে হাজার আটেক ইমিগ্রেশনে সমস্যা আছে এমন ভারতীয়কে পত্রপাঠ ভারতে পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন এবং এবার থেকে ওই হুট বলতে ঝুট চলো আমেরিকা যে আর হবে না তা স্পষ্ট। মোদিজির যাবতীয় সরকারি নীতির ফলে ভারত ক্রমশ বিশ্ব রাজনীতি, বাণিজ্য, অর্থনীতিতে বিচ্ছিন্ন হচ্ছে। আর সবচেয়ে বড় বিপদ হল সেই বাস্তবকে বোঝার মতোও ক্ষমতা নেই এই মোদি সরকারের।