কাঁথি: পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছিল আগেই। ফলে এবারের পুরভোটটা কার্যত অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই হয়ে দাঁড়িয়েছিল অধিকারী পরিবারের কাছে। রবিবার ভোট যত এগিয়েছে, মানুষজনের স্বতঃস্ফুর্ত ভাবভঙ্গি দেখে ততই হতাশ হয়েছে অধিকারী পরিবার। আর সেই হতাশা থেকেই কাঁথির তৃণমূল নেতা তরুণ জানার উপর হামলা চালাল বিজেপি। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলা থেকে রক্ষা পাননি কাঁথি-১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েনও।
রবিবার রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় ১০৮টি পুরসভার নির্বাচন হচ্ছে। এদিন কাঁথিতেও ২১টি আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। সকাল থেকেই মানুষ স্বতঃস্ফুর্ত ভাবে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করছিলেন। এর জেরেই ক্ষমতা হারানোর ভয়ে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে সন্ত্রাস শুরু করে বিজেপি ও অধিকারী পরিবার। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী উত্তর কাঁথি বিধানসভার কো-অর্ডিনেটর, কাঁথি পুরসভার নির্বাচন কমিটির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য তরুণ জানার বাড়িতে হামলা চালায়।
কাঁথি পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ডে একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থাকেন তরুণ জানা। সেখানেই হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বাড়ির সামনে চেয়ার, টেবিল ভেঙে দেওয়া হয়। ইঁট মেরে বাড়ির দরজা-জানালা ভাঙার চেষ্টা করা হয়। তরুণবাবু খবর পেয়ে গ্রামের বাড়ি মুকুন্দপুর থেকে ভাড়াবাড়িতে আসেন। বিজেপি সমর্থকদের গন্ডগোল না করার কথা বলেন তিনি। এর পরই বিজেপির গুন্ডারা চড়াও হয় তরুণবাবুর উপর।
আরও পড়ুন: WB Municipal Election 2022: ভোট এলেই রাজ্যে সন্ত্রাস শুরু করে শাসক দল, অভিযোগ শমীকের

তৃণমূল সূত্রে খবর, তরুণবাবুর গলায়-হাতে আঘাত করা হয়। মাথায়ও আঘাত লাগে। এই মুহূর্তে তরুণবাবু দারুয়া হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। ১০ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কার্যালয়েও নির্বিচারে হামলা চালায় বিজেপি। ঘটনাস্থলে উত্তেজনা থাকায় পুলিশ রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, তরুণবাবু অত্যন্ত লড়াকু নেতা। তৃণমূল কর্মীদের মনোবল ভাঙার জন্যই বিজেপি ভোট চলাকালীন তাঁর উপর হামলা চালিয়েছে।