৩০ বছরের এক মহিলার পেটের ভিতর গত পাঁচ বছর ধরে ছিল আস্ত একটি কাঁচি। মাঝেমাঝে এজন্য পেটে অসহ্য ব্যথা (pain) হত। চিকিৎসকদের কাছেও ছুটেছেন ওই মহিলা। কিন্ত একাধিক চিকিৎসক কিছুই ধরতে পারেননি। পরে ব্যাপারটি ধরতে পারেন কোঝিকোড মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা (doctors)। হারশিনা নামে ওই মহিলার পেটে অস্ত্রোপচার (operation) করে এরপর পেটের ভিতরে থাকা ওই কাঁচিটি বের করে এনেছেন কোঝিকোড মেডিক্যাল কলেজের চিকিৎসকরা।
এরপর বিষয়টি নিয়ে হইচই শুরু হয়েছে। হারশিনার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে কেরলের (keral) স্বাস্থ্যমন্ত্রী বীণা জর্জ ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, এই ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কঠোর ব্যবস্থা (action) নেওয়া হবে।
হারশিনা জানিয়েছেন, ২০১৭ সালে কোঝিকোড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাঁর সিজার করা হয়। এর আগে তিনি বেসরকারি হাসপাতালে দুই সন্তান প্রসব করেছেন। তৃতীয়বার গর্ভবতী হওয়ার পরে ফের কোঝিকোডের সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হন। হারশিনিয়া বলেছেন, কোঝিকোডে মেডিক্যাল কলেজে অস্ত্রোপচারের পর থেকেই পেটে যন্ত্রণা হতে শুরু করায় তিনি ভেবেছিলেন তাঁর কিডনিতে পাথর হয়েছে। অথবা ক্যান্সার হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসকরা কেউই কিছু ধরতে পারেননি।
জানা গিয়েছে, হারশিনা ব্যথা কমানোর জন্য মুঠো মুঠো অ্যান্টিবায়োটিক খেয়েছেন। তাতেও কাজ হয়নি। উপরন্তু গত ছয় মাস ধরে পেটের ব্যথা উত্তরোত্তর বেড়েছে। এছাড়া গত কয়েকমাস ধরে তিনি মূত্রনালী সংক্রমণেও ভুগছিলেন। এরপর স্ক্যান করে দেখা যায় হারশিনার পেটে রয়েছে ধাতব কোনও বস্তু। কোঝিকোডের সরকারি মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে চিকিৎসকরা হারশিনার পেটে অস্ত্রোপচার করে ওই কাঁচিটি বের করেছে।
আরও পড়ুন: UP Incident: যোগীরাজ্যে জীবন্ত দগ্ধ গর্ভবতী ধর্ষিতা নাবালিকা
এই ঘটনার পরে কোঝিকোড মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি নিয়ে পৃথক তদন্তের নির্দেশ দেন। মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপ্যাল ই ভি গোপী বলেছেন, প্রাথমিক তদন্তে দেখা গিয়েছে হাসপাতাল থেকে অস্ত্রোপচারের কোনও সরঞ্জাম হারায়নি।