নয়া দিল্লি: গুজরাতের মাচ্ছু নদীতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা। রবিবার সন্ধ্যায় ভেঙে পড়ল ঝুলন্ত ব্রিজ। সেসময় কেবল ব্রিজে প্রায় ৫০০ মানুষ ছিলেন। ছট পুজোর জন্য ভিড় ছিল। তাঁরা নদীতে পড়ে যান। ব্রিজের ঝুলে থাকা অংশ ধরে বাঁচার চেষ্টা করেন অনেকে। ঘটনায় আহতের সংখ্যা অনেক হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অনেকের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা। ঘটনাস্থলে পুলিশ, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। পৌঁছেছে অ্যাম্বুলেন্স। যুদ্ধকালীন ততপরতায় উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে যত শীঘ্র সম্ভব সেখানে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে যেতে বলা হয়েছে। এই সময় বিধানসভা ভোটের প্রচারে গুজরাতে রয়েছেন প্রাধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে, প্রায় ৫০০ মানুষ ব্রিজে ছিলেন সেসময়। প্রায় ৪০-৫০ জনের তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। মোরবি জেলার ওই ব্রিজ পাঁচ দিন আগেই মেরামতি করা হয়েছে। প্রায় সাত মাস মেরামতির জন্য বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন Covid-19 XBB Sub-Variant: শীত আসছে, ভারতে নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্ট, কোভিডের ভয় আছে কী?
ঘটনার পর প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ওই ব্রিজ ভেঙে পড়ার ঘটনায় গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন। দুর্ঘটনাগ্রস্তদের সবরকম সহযোগিতা করতে বলেছেন তিনি। মৃতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রীও টুইটারে জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রতি মুহূর্তে তিনি নজরে রয়েছেন। দ্রুত আহতদের শুশ্রুষার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে আহতদের দ্রুত সুস্থতার কামনা করেছেন।
এই ঘটনায় আম আদমি পার্টির পক্ষ থেকে ব্রিজ তৈরিতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। তারা সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছে। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ গুজরাত ভোটের জন্য বিজেপি সরকার তড়িঘড়ি ব্রিজ চালু করেছে।