বেজিং: তাইওয়ান (Taiwan) ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেন সীমা লঙ্ঘন না করে। চিন (China) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক স্বার্থে হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে চলা উচিত। এ কথা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে (joe Biden) সাফ জানালেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (Xi jinping) ।
ইন্দোনেশিয়ার বালিতে দুই রাষ্ট্রনেতা মিলিত হন জি ২০ বৈঠকের ফাঁকে। সূত্রের খবর, বাইডেন এবং জিনপিংয়ের মধ্যে কথাবার্তা হয়েছে টানা তিনঘণ্টা। সেখানেই শি জিনপিং তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট (US) জো বাইডেনকে সাফ জানিয়েছেন তাইওয়ান সম্পর্কে চিনের অবস্থান। জিনপিং ও বাইডেনের বৈঠকের পরে শি জিনপিংয়ের বক্তব্য সরকারিভাবে জানিয়েছে চিনের বিদেশ মন্ত্রক।
আরও পড়ুন: High Court Questioned SSC: এবার কাঠগড়ায় কর্মশিক্ষার নিয়োগ, তালিকা উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি বিচারপতির
ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এখন দেখার আগামিদিনে তাইওয়ান ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (US) কী ভূমিকা নেয়। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক তাইওয়ান ইস্যুতে আরও জটিল হতে পারে। প্রসঙ্গত, ‘চিন ওয়ান নেশন’ পলিসি অনুযায়ী তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মর্যাদা দিতে নারাজ। চিন মনে করে তাইওয়ান চিনা (China) ভূখণ্ডের অংশ। অন্যদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মনে করে। তাইওয়ান বনাম চিনের বিরোধের জেরে তাইওয়ানকে সামরিক সহযোগিতা করতেও প্রস্তুত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন রণতরী মোতায়েন করা হয়েছে তাইওয়ান প্রণালীর কাছে।
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, জিনপিং এবং বাইডেন তাইওয়ান ছাড়াও অন্য যে বিষয়গুলি নিয়ে কথা বলেছেন এর মধ্যে রয়েছে ইউক্রেন যুদ্ধ। গত ফেব্রুয়ারি থেকে লাগাতারভাবে চলা ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জিনপিং। চিন (china) মনে করে শান্তি ফেরাতে রাশিয়া ও ইউক্রেনের আলোচনা বসা উচিত।